রাজশাহীর পুঠিয়ায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশিক্ষণের জন্য, ছুটিতে রয়েছেন। যারজন্য,উপজেলার শতশত মানুষ ভূমির সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কর্মকর্তা না থাকার কারণে,অফিস সহকারিদের দ¦ারায় প্রতিনিয়ত সাধারণ হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসিল্যান্ড ছুটিতে থাকলেও তার স্থলে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তার প্রশাসনিক কাজের কারণে,তিনি নিয়মিত সময় দিতে পাড়েন না। বৃহস্পতিবার ৬ জানুয়ারী সকাল ১২টার সময়ে উপজেলা ভূমি অফিস গিয়ে দেখা গেছে, এসিল্যান্ড গত গত বছর ২৯ অক্টোবর প্রশিক্ষনের জন্য ৫ মাসের ছুটিতে রয়েছেন। পুরো অফিসে দুই-তিনজন কর্মচারী থাকলেও বাকিরা কেউ ছুটিতে আবার কেউ হাজিরা দিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। অফিসের আশপাশে ঘুরছেন বিভিন্ন সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগিরা। ভূমি অফিসের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, ইউএনও স্যার এখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি বেশিরভাগ সময় উপজেলার প্রশাসনিক কাজে তাকে ব্যস্ত থাকতে হয়। এজন্য, এখানে সব সময় আসতে পারেন না। তাছাড়া ১৬ ডিসেম্বর এবং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনসহ নানা সমস্যার জন্য,তিনি প্রায় ২৫ দিনের মতো ঠিকমতো অফিসে আসতে পাড়েননি। ভালুকগাছি ইউপি এলাকা থেকে আসা আমজাদ হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, একটা জমি খারিজ করতে দিয়েছি, গত প্রায় ৬ মাস আগে। কিন্তু ইউএনওর মাধ্যমে কাগজপত্র ঠিক করিয়ে দেয়া হবে বলে দুই সপ্তাহ ধরে সাটিফিকেট সহকারি আমাকে ঘুরাচ্ছেন। আজ এসে শুনছি,গত ২০-২৫ দিন থেকে ইউএনও এখানে আসেন না। আরো ১০ দিন পর আসতে বলা হয়েছে। কছিমুদ্দিন নামের অপর একজন ভুক্তভোগী বলেন, এই অফিসে টাকা ছাড়া কোনো ফাইল নড়ে না। এখানকার ইটেও টাকা চায়। শিলমাড়িয়া ইউপির একজন বলেন, আমাদের নিজস্ব কিছু জমির কাগজপত্র ও মালিকানা নিয়ে কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। তার সমাধান করতে, প্রায় ৬ মাস আগে এখানে একটা আবেদন করে ছিলাম। অফিসের লোকজন নানা অযুহাতে দিনের পাড় অতিবাহিত করছেন। এদিকে আবার দুই মাস ধরে এসিল্যান্ড নেই। তাই এখন আর কোনো কাজ হচ্ছে না। এই ভূমি অফিসে মামুন এবং আরিফ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। নিজে করতে হলে অনেক ভুগান্তিতে পড়তে হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন,কর্মকর্তা পাচঁ মাসের জন্য উচ্চতর প্রশিক্ষণে রয়েছেন। তার পরির্বতে আমি সেখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। নির্বাচনসহ প্রশাসনিক কিছু সমস্যার কারণে,ভূমি অফিসে নিয়মিত সময় দিতে পারেনি। কয়েক দিনের ভেতরে ভূমি অফিসের কাজ নিয়ে মানুষ আর ভুগান্তিতে পড়বে না।