হাওর অঞ্চলিত একমাত্র উপজেলা নিকলী। সেই উপজেলায় সাতটি ইউনিয়নের বেশির ভাগ ইউনিয়নই হলো হাওরের মধ্যে অবস্থিত। কিন্তু কৃষকরা এ বছর আলুর জমি বেশি চাষ করার কারণে আলুর সঠিক মূল্য না পাওয়ার কারণে কৃষকরা এখন হতাশ হয়ে পড়েছেন। এমনি এ উপজেলার বেরিবাধ কান্দায় কৃষকরা তাদের নিজ জমিতে রুমানা গোটা (গোটি আলু) চাষ করেছেন। পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে জমির পরির্চ্চা করে কৃষক গোটি আলু বুনে ছিলেন। এ আলু বিক্রি করতে গিয়ে কৃষকের মাথার মধ্যে হাত পড়েছে। নিকলী উপজেলার দক্ষিণ হাটির গ্রামের কৃষক আছির উদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, তিনি ৭০ শতাংশ জমিতে রুমানা গোটা আলু চাষ করে এতে তার ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আলুর প্রাপ্য ধর বাজারে নেই বললেই চলে। ৬শত টাকা মন দরে গোটি আলু বিক্রি করেছেন। এতে তার হাজার হাজার টাকা লোকসান গোনেছেন। নিকলী বাজার হাটি গ্রামের বয়োবৃদ্ধ রাশেদা বলেন, একদুপুর ১০০ টাকা মুজুরির চুক্তিতে জমি থেকে আলু তুলেছি। কৃষক এমনিতেই ক্ষতির সম্মুখিন। তাই মজুরি বেশি দাবি করতে পারছি না বলে উল্লেখ করেন।