বোমা হামলায় নিহতের ঘটনার দীর্ঘ সাত মাস পর থানার ওসির কঠোর পরিশ্রমে অবশেষে মূল হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর গ্রামের।
মামলার এজাহারভুক্ত অন্যতম আসামি তানভির হাসান জিতু হাওলাদারকে (৩৩) গ্রেফতারের পর মূল রহস্য বেরিয়ে আসতে থাকে। গ্রেফতারকৃত জিতু হাওলাদার বোমা তৈরি ও নিক্ষেপ এবং বোমা হামলায় আবু বক্কর ফকিরকে হত্যার ঘটনায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক লোমহর্ষক বর্ননা করেছেন। সে (জিতু) কালকিনি উপজেলার ঠেঙ্গামারা গ্রামের আবদুর রহিম হাওলাদারের ছেলে।
মঙ্গলবার সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার চৌকস অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, বহুল আলোচিত বোমা হামলায় আবু বক্কর ফকির হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত অন্যতম আসামি তানভির হাসান জিতু হাওলাদার বরিশাল অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এতে সে (জিতু) বোমা তৈরি ও নিক্ষেপ এবং বোমা হামলায় আবু বক্কর ফকির হত্যার ঘটনার লোমহর্ষক বর্ননা করেছে। ওসি আরও জানান, মামলার পর থেকে আত্মগোপনে থাকা জিতু হাওলাদারকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ জুন অনুষ্ঠিত প্রথমধাপের ইউপি নির্বাচনে গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের খাঞ্জাপুর পাঙ্গাশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়ী ইউপি সদস্য প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন মৃধার সমর্থকরা সন্ধ্যা সাতটার দিকে আনন্দ মিছিল দিয়ে কেন্দ্র ত্যাগ করছিলেন। এ সময় কেন্দ্রের পাশে অবস্থান করা পরাজিত ইউপি সদস্য আরজ আলী সরদারের লোকজনে আনন্দ মিছিলে অর্তকিতভাবে বোমা হামলা চালায়। এতে বিজয়ী ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থক আবু বক্কর ফকির (২৮) ঘটনাস্থলেই নিহত ও পাঁচজন গুরুত্বর আহত হয়। ওই হামলায় নেতৃত্বে ছিলেন পরাজিত প্রার্থীর নিকট আত্মীয় তানভির হাসান জিতু হাওলাদার। আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জিতু হাওলাদারের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সে নিজেই বোমা তৈরি ও নিক্ষেপ এবং বোমা হামলায় আবু বক্কর ফকিরকে হত্যার ঘটনায় লোমহর্ষক বর্ননা করেছেন।