বুধবার সারাদিন আকাশ রৌদ্রউজ্জ্বল হলেও সন্ধ্যার আগে থেকে হঠাৎ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে গোমস্তাপুর উপজেলায়। বৃষ্টিতে প্রকৃতি শীতল হলেও ঠান্ডার তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে বৃষ্টির প্রভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে পথচারীদের। অন্যদিকে শ্রমজীবীদের পড়তে হয়েছে বিপাকে। তবে এ বৃষ্টিতে জমিতে থাকা ফসলের কোন ক্ষতি হবেনা বলে জানিয়েছেন কৃষি অফিস।
উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের আড্ডা এলাকার বাসিন্দা রুহুল বিকেলে রহনপুর বাজারে ছেলের জন্য শীতের পোশাক কিনতে এসে ছিলেন। সন্ধ্যায় আগে বাড়ি যাওয়ার সময় বৃষ্টির কারণে বাড়ি যেতে পারছেনা। ছোট ছেলেকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে খোঁয়াড়মোড় বাস স্ট্যান্ডে। তিনি জানান, কখন যে বৃষ্টি থামবে তারপর বাড়ি যেতে হবে।
মাঠে কাজ করা শ্রমিক এরশাদ জানান, ঘোড়াদহ মাঠে ইরি ধান রোপনে জন্য জমি তৈরি করে আসছিলেন পথে বৃষ্টিতে ভিজে গেছি। ঠান্ডা লাগছে ওষুধ খেতে হবে। তবে বৃষ্টি হওয়ার তাঁর জমির ক্ষতি হবে না। জমিতে পানির প্রয়োজন আছে তাঁর সহ সকলের ভাল হয়েছে। তবে অনেকক্ষণ ধরে জমিতে পানি ধরে যেত।
রহনপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আনারুল ইসলাম জানান, পরিবার নিয়ে বিকেলে বাজারে ছিলাম। বৃষ্টি শুরু হলে বাড়ি যেতে পারছিলেন না পরিবারের লোকজন। পাশের দোকান থেকে ছাতা নিয়ে কোন মতে বাড়ি যান।
ভ্যানচালক সুজন জানান, বৃষ্টিতে তাঁর ভ্যানগাড়ীর যাত্রীসহ ভিজে গেছে। আর গাড়ী চালানো তাঁর পক্ষে সম্ভব না। তিনি জানান,বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ভ্যানগাড়ী চালাতেন। তিনি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে তিনি জানান।
এদিকে সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিরা বৃষ্টির ফলে অফিস থেকে বাড়ি যেতে অসুবিধার মধ্যে পড়েন।
গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সীমা কর্মকার বলেন, এ বৃষ্টিতে ফসলি জমিতে তেমন ক্ষতি হবেনা। গম, অন্যান্য ফসল ও আবাদি ধানের জমির জন্য ভাল হয়েছে।