চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ আবদুল হালিমের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৭ জানুয়ারি রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের যুগ্ম নিবন্ধক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভোলাহাট ইউসিসিএ লিঃ এর নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সমবায়ীবৃন্দ। লিখিত অভিযোগে বলা হয় আসন্ন ভোলাহাট ইউসিসিএ লিঃ নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে জেলা/উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার জায়গায় স্বাক্ষর করতে ভোলাহাট উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ আবদুল হালিমের কাছে প্রার্থীরা গেলে তিনি প্রতিস্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান।
এ ঘটনায় প্রার্থীরা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রানু মিয়াকে বিষয়টি অবহিত করেন। তিনি সমবায় কর্মকর্তার সাথে স্বাক্ষাত করে প্রার্থীদের বলেন, সভাপতি পদে ১০ হাজার, সহ-সভাপতি পদে ৫ হাজার এবং পরিচালক পদ প্রতি ৩ হাজার টাকা করে মোট ৩৩ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন সমবায় কর্মকর্তা।
নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন পদের প্রার্থীরা ঘুষের টাকা না দেয়ায় ২৯ জানুয়ারি মনোনয়ন পত্রগুলো সমবায় কর্মকর্তা মোঃ আবদুল হালিমের প্ররোচনায় বাতিল করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমবায় কার্যালয়ের সরেজমিন তদন্তকারী মোঃ মহসিন ইসলাম।
এ বিষয়ে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ আবদুল হালিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ঘুষ গ্রহণ বিষয় এড়িয়ে বিভিন্ন কথা বলেন। একই বিষয়ে পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা রানু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভোলাহাটের বাইরে আছেন বলে ফোনে এসব কথা বলতে অপারগতা জানান। লিখিত অভিযোগে ঘুষ বাণিজ্যকারী সমবায় কর্মকর্তার সুষ্ঠু তদন্ত করে অপসারণসহ বিচার দাবি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ভোলাহাট উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ আবদুল হালিমের বিরুদ্ধে ইউএনও'র স্বাক্ষর জালসহ নানা চাঁদাবাজি ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।