রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়ন বিএনপি‘র ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কাউন্সিলে সভাপতি পদে রেজাউল করিম ২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী এন্তাজ আলী মাষ্টার পেয়েছেন ৩ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে নাসির উদ্দিন ২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নবাব আলী পেয়েছেন ২ ভোট।
সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর মোয়াজেম হোসেন ১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী কামরুল হাসান টুটুল পেয়েছেন ৪ ভোট।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারী) সকালে উপজেলার দিঘা আঠালিয়াপাড়া এলাকায় জামালের পাটের গোডাউনে এই ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গ্রহন শেষে ফলাফল ঘোষনা করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফখরুল হাসান বাবলু। ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩ জন করে ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২৭ জন। উপস্থিত ছিলেন ২৩ জন ভোটার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশরাফ আলী মলিনসহ বিএনপির রাজনৈতিক নেতাকর্মী। প্রিজাইটিং কর্মকর্তা ছিলেন আশরাফুজ্জামান বিদ্যুৎ।
এ বিষয়ে সভাপতি পদে পরাজিত প্রার্থী এন্তাজ আলী মাষ্টার বলেন, আমরা পূর্বঘোষিত স্থানে সকাল থেকে অবস্থান করার পর কাউন্সিল হয়নি। তারা কৌশলে অন্যস্থানে গিয়ে কাউন্সিল করেছেন। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফকরুল ইসলাম বাবলু ও সদস্য সচিব আশরাফ আলী মলিনের একক তত্বাবধায়নে নির্বাচন সম্পন্ন করেন। আমরা এ কমিটি মানিনা।
পরাজিত সাধারাণ সম্পাদক প্রার্থী নবাব আলী বলেন, ৯টি ওযার্ড়ের ৪৬৯ জন ভোটারের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের দাবি করেছিলাম। কিন্তু তারা না করে নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে তারা নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে। তবে এর প্রতিবাদে আমরা ১৭ জানুয়ারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের কুশপুত্তলিকাদাহ করেছি। তাঁদের সমর্থিত গ্রুপের নিশ্চিত পরাজয় যেনে এমন কৌশল করেছেন।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফখরুল হাসান বাবলু বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঝামেলা এড়াতে পূর্বঘোষিত স্থান পরিবর্তন করে কাউন্সিল সম্পন্ন করা হয়েছে।