খুলনার পাইকাছায় ২০২১ সালে এইচএসসি পরিক্ষার ফল প্রত্যাশী কপিলমুনি কলেজের এক ছাত্রী প্রভাষক সৌমিত্র সাধুর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে কলেজের অধ্যক্ষ পদার্থ বিজ্ঞানের ঐ প্রভাষকে শোকজ করেছেন। কলেজ সভাপতি বরাবর ছাত্রীর লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, সে কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির নিয়মিত ছাত্রী। শ্রেণিতে শিক্ষারত অবস্থায় পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষকের নিকট পড়াশুনা করতেন। শ্রেণিতে শিক্ষারত অবস্থায় সে কখনো অনিয়মিত ছিলো না। ছয় মাস আগে তার পিতা মারা গেছেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভিক হলে শ্রেণিতে (কোচিং সেন্টার) পড়তে যেতেন না। অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় স্যার তাকে যেতে বলেন। গত ১০ নভেম্বর স্যারের নিকট পড়তে গেলে ক্লাসের শেষে স্যার তার সাথে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন। তার সাথে ঘটে যাওয়া অশ্লীল আচারণের সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন। কলেজের একাধিক শিকক্ষ নাম না প্রকাশে শর্তে বলেন, ঘটনাটি প্রভাষক সৌমিত্র সাধু কপিলমুনি বাজারের পূর্ব পাশে পরিত্যাক্ত বীরাঙ্গনা গুরুদাসীর বাড়ির পাশে কোচিং সেন্টারে ঘটেছে। অন্যান্য ছাত্রীর সাথে কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট শেষে সকলকে ছুটি দিলেও এ ছাত্রীকে থাকতে বলে। এ সময় ছাত্রী কোচিং ফি দিতে গেলে বলে তোমার টাকা দিতে হবে না। তোমার শরীর খারাপ ফল কিনে খাবে বলেই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করে। ঘটনারপর কলেজ নিকটে ছাত্রীর আত্মীর বাড়ী যেয়ে কান্না কাটি করে। প্রভাষক সৌমিত্রকে আত্মীয় ফোনে ছাত্রীর কান্নাকাটির বিষয় জানতে চাইলে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। কলেজের অধ্যক্ষ অফিসের কাজে বাহিরে থাকায় দ্বায়িত্ব থাকা সহকারী অধ্যাপক ত্রিদিব কান্তি মন্ডলকে ফোন করে ছাত্রীর আত্মীয় জানান। আত্মীর ফোনের মাধ্যমে ছাত্রীর মা ঘটনা শুনে জ্ঞানশূন্য হয়ে যান। ঘটনা ধাঁমা চাপা দিতে প্রভাষক সৌমিত্র বিভিন্ন মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। ইতি পূর্বেও একাধিক ছাত্রী সাথে এমন অশ্øীল আচারণ করলেও লোক লজ্জার ভয়ে মুখ খুলতে পারেনি তারা। এ ছাত্রী জেএসসি ও এসএসসিতে গ্লোডেন এ প্লাস পেয়েছেন। প্রভাষক সৌমিত্র সাধু বক্তব্য নিতে ১৭ জানুয়ারি কলেজে যেয়ে না পাওয়ায় তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে ১৮ জানুয়ারি বার বার কল করেও রিসিভি হয়নি। সহকারী অধ্যাপক ত্রিদিব কান্তি মন্ডল বলেন ঘটনা লোক মুখে শুনেছি। কলেজ গভার্রিংবডি সদস্য শেখ দীন মাহমুদ বলেন, যদিও ঘটনাস্থল কলেজের বাহিরে তবে ঘটনা সত্য হলে ক্ষমা করা কোন সুযোগ নেই। প্রভাষকের জন্য প্রতিষ্ঠান বদনাম নিবে না। কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাবিবুল্লাহ বাহার বলেন, বাই পোষ্টে ছাত্রীর লিখিত অভিযোগের পরিপেক্ষিতে ১৫ জানুয়ারি প্রভাষকে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ায় জন্য শোকজ করা হয়েছে। সে ছাত্রী হিসাবে ভালো ও মেধাবী। এইচএসসিতেও ভালো রেজাল্ট করবে বলে আশাবাদী। কলেজে পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বলেন, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। সাংবাদিকের মাধ্যমে প্রথম শুনছেন বলে জানান তিনি।