যশোরের কেশবপুরের সাগরদাঁড়ি ও সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটিতে স্বাধীণতা বিরোধীদের অর্ন্তভুক্ত করায় তৃণমুল নেতা কর্মীদের ভিতর চরম অসন্তোষণ বিরাজ করছে। এ কমিমিটি প্রত্যাহারের দাবিতে ইউনিয়ন দুটিতে মানববন্ধনসহ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। অপরদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুযহুল আমিন স্বাক্ষরিত আহ্বায়ক কমিটির ঘোষনাকে অগঠণতান্ত্রিক আখ্যায়িত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা। সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা নব গঠিত আহ্বায়ক কমিটির ব্ষিয়ে তার ওয়ালে উল্লেখ করেছেন যে, এ কমিটির কোন বৈধ্যতা নেই। স্বেচ্ছাচারিতা ও ব্রক্তিগত আক্রোশ মেটানোর অপপ্রয়াশ মাত্র। একক সিদ্ধান্তে কোন কমিটি বিলুপ্ত করা ও গঠণ করা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠণতন্ত্র পরিপন্থী ও দলীয় শৃঙ্খলা ভংগ করা ছাড়া কিছুই নয়।
এদিকে আহ্বায়ক কমিটির নাম প্রকাশের পর বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সদ্য সাবেত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডাক্তার শহিদুল ইসলাম বলেন ঘোষিত আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রাজাকার পরিবারের সন্তান। এ ছাড়া নৌকা প্রতিকের বাইরে অবস্থান নেয়ায় যদি কমিটি।ভঙ্গে দেয়া হয় তাহলে যারা নৌকার বিরোধী আনারস প্রতিকে সরাসরি কাজ করেছে তাদেরকে কমিটি অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে কার স্বার্থে। এ কমিটি অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানান তিনি।
একই মন্তব্য মুক্তিযোদ্ধা তৌহিদুজ্জামান ,আব্দুস সাত্তার ও নিমাই চন্দ্র দেরনাথের। সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নে আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে তৃণমুল পর্যায়ের নেতা কর্মীরা আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন করবেন বলে জানান দিয়েছেন। গত ৫ জানুয়ারী কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি ও সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘঁনায় ইউনিয়ন কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হয়। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম রুহুল আমিন সাংবাদিকদের জানান ,সাগরদাঁড়ি ও সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতৃবৃন্দ নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে কাজ করার কারণে আমরা ওই কমিটি বিলুপ্ত করি। সেই সাথে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করি। চরম অসন্তোষের কারণে ঘরের আগুণে পুড়ছে আওয়ামীলীগ। পত্রিকায় নাম না প্রকাশের শর্তে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র কয়েকজন নেতা বলেন, দলীয় প্রতিকের বিপক্ষে থাকায় সাংগঠণিক সিদ্ধান্ত সঠিক। তবে যাদেরকে নুতন করে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাদের ব্যাক গ্্রাউন্ড বিবেচনা করা উচিৎ।