যশোরের ঝিকরগাছা পৌরসভার নির্বাচন বাতিলের দাবিতে পরাজিত ৫ মেয়র এবং ১২ কাউন্সিলর রিটার্নিং অফিসারের নিকট আবেদন জানিয়েছেন।
গত রোববার ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে নির্বাচন শেষ হয়েছে। একটি কেন্দ্রে মামলা থাকায় নির্বাচিত মেয়রের নাম প্রকাশ স্থগিত রয়েছে। সেইসাথে ওই ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর এবং সাধারণ কাউন্সিলরের নাম ঘোষণা স্থগিত রয়েছে। বাকিদের বেসরকারি ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
ঝিকরগাছা পৌরসভার নির্বাচন শান্তি পূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলেও ইভিএম মেশিনে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা। অভিযোগকারী পরাজিত ৫ মেয়র এবং পরাজিত ১২ কাউন্সিলরদের দাবী - এই নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় ভোট গ্রহণ অথবা ভোট পুনরায় গননা করতে হবে। তাদের দাবী ইভিএম মেশিনে ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে রিটার্নিং অফিসারের নিকট মেয়র পদে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইমরান হাসান সামাদ (সব প্রার্থীর একটি কেন্দ্রের ভোট বাদে কম্পিউটার ৫ হাজার ৭শ' ১২) এ মর্মে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন। গত সোমবার অপর পরাজিত মেয়র প্রার্থী যথাক্রমে ছেলিমুল হক সালাম (জগ ১ হাজার ৮শ'৬৩), আব্দুল্লাহ আল সাঈদ ( রেল ইঞ্জিন ১ হাজার ১১), এ কে এম আমানুল কাদির (নারকেল গাছ ১ হাজার ১০), এবং ইমতিয়াজ আহমেদ শিপন (৫শ' ৮৭) পুনরায় ভোট গ্রহণ অথবা পুনরায় ভোট গণনার দাবী জানিয়েছেন। পরাজিত কাউন্সিলরদের মধ্যে আজাদ রহমান ও শরিফুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, আবদুর রাজ্জাক, নিমাই চন্দ্র ঘোষ, সাইফুল আলম সুজন,মিজানুর রহমান নিজাম, মতিয়ার রহমান, কলিম হোসেন, চিত্রা রাণী করে,নাছিমা খাতুন এবং পপি বেগম একই আবেদন জানিয়েছেন।
ইমরান হাসান সামাদ নিপুণ বলেন- ইভিএম মেশিনে ভোট কারচুপির কারণেই ভোট পুনঃগণনা করা হোক অথবা ভোট বাতিল করে পুনরায় ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করা হোক।
অভিযোগকারী পরাজিত মেয়র ছেলিমুল হোক সালাম বলেন- ভোটের দিন ৪ নং ওয়ার্ডে আমার পুলিং এজেন্ট হ্যাপিকে বুথ থেকে বের করে দেয় নৌকার এজেন্ট। এরপর প্রিজাইডিং অফিসার তার রুমে সবগুলো ইভিএম মেশিন নিয়ে বেশ কিছু সময় আটকে রেখে ভোট জালিয়াতি করেছে। এজন্যই আমি ভোট বাতিল অথবা পুনঃগণনার দাবী জানাচ্ছি।
আমানুল কাদির বলেন- প্রয়োজনে ইভিএম এর ভোট গণনার জালিয়াতির জন্য হাইকোর্টে মামলা দায়ের করবো।
মঙ্গলবার দুপুরে অভিযোগকারীদের আবেদনের বিষয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার হুমায়ুন কবির জানান, আমি এখনও অভিযোগপত্র হাতে পায়নি।