চলনবিলে সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। বিশেষ করে বোরে ধানের আগে কম খরচে অতিরিক্ত ফসল ও ভোজ্য তেলের দাম বাড়ায় সরিষা আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। আর এবছর ফলন বেশি হওয়ায় বারি উদ্ভাবিত বারি- ১৪ জাতের সরিষা বেশি চাষ হয়েছে।
সরেজমিনে সিংড়ার চলনবিলে উৎপাদিত বারি-১৪ জাতের সরিষার প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শন করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তেল জাতীয় ফসল উৎপাদন প্রকল্পের রাজশাহী অঞ্চলের মনিটরিং কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সিংড়া উপজেলায় এবছর ৩ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষা চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল ও রোগ বালাই কম থাকায় এবং কম খরচে বোরো ধানের আগে অতিরিক্ত ফসল সরিষা চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন চলনবিলের কৃষকরা।
চলনবিলের পিপুলসন গ্রামের কৃষক মামুন মিয়া বলেন, তার এবছর ৩ একর জমিতে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বারি-১৪ জাতের সরিষার প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি আরো ৩ একর জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষা চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে ফসল ঘরে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর প্রতি বিঘায় ৭ থেকে ৮মন ফলন ও নায্য মূল্যে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
অপর কৃষক মজনুর রহমান বলেন, মাত্র বিঘা প্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা খরচ ও বোরো চাষের আগে ৮০ থেকে ৮৫ দিনে অতিরিক্ত আবাদ হিসেবে তিনি বারি-১৪ সরিষা আবাদে লাভবান হয়েছেন। তার দেখে অনেক কৃষক সরিষা চাষে ঝুঁকছেন।
সিংড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, কম খরচে ফলন বেশি ও দামে লাভবান হওয়ায় কৃষকরা সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আর এবছর অত্র কার্যালয় থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ৪ হাজার ৯৫০ জন কৃষককে কৃষি প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে।