দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে বছর জুড়ে সকল সভা-সমাবেশে ডিমকে করা হয়েছে নাস্তায় স্থায়ী মেনু। ফলে উপজেলা সদরের সকল দাপ্তরিক অনুষ্ঠানে প্রতি বছর ১০ হাজার ডিমের ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে। আর এ সকল ডিমের চাহিদা পূরণ করবে স্থানীয় ডিমের খামারীরা। ফলে মানুষের মধ্যে ডিম খাওয়ার গুরুত্ব বেড়ে যাবে।
দিঘলিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ফজলুল করিম এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি সাধারণ মানুষের মাঝে ডিম খাওয়ার গুরুত্ব ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে দিঘলিয়া উপজেলার সকল দপ্ররের জাতীয় দিবসসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে নাস্তায় অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি একটা ডিমকে নাস্তা তালিকায় অন্তরভূক্তির কথা নিজের চিন্তায় আনি। তিনি জানান, ফলপ্রসু এ চিন্তার সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ০১/০৩/২০২১ তারিখে দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুল আলম স্যারকে পত্র দেই। যার স্মারক নং-৩৩.০১.৪৭৪০.০০০.০০২.২১.৩৭৭। তিনি তাঁর প্রেরিত পত্রের সংগে ডিম সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত ও পুষ্টিগুণ সম্বলিত একটা তালিকা প্রেরণ করি। পত্রে তিনি সকল সরকারি দপ্তরের সকল প্রকার নাস্তা ও দুপুরের খাবারে একটি করে ডিম রাখার ব্যাপারে অনুরোধ করি।
দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুল আলম গত ১০/১০/২০২১ তারিখে দিঘলিয়া উপজেলার সকল দাপ্তরিক অনুষ্ঠানে নাস্তা ও দুপুরের খাবারে একটা করে ডিম রাখার অনুরোধ সম্বলিত পত্র প্রেরণ করেন। যার স্মারক নং-০৫.৪৪.৪৭৪০.০০০.০৫.০০৬.২১-৮৪৫।
এদিকে দিঘলিয়া উপজেলার সকল দপ্তরে সকল অনুষ্ঠানে নাস্তা ও খাবার তালিকায় একটি করে ডিম রাখার ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুল আলমকে তাঁর এ মহতি উদ্যোগের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (গ্রেড-৩) ডাঃ সুখেন্দু শেখর গায়েন।(স্মারক নং-৩৩.০১.০০০০.২০৪.৫৩.০০২..২১-১৮৯৭)।