দাম্পত্য কলহের জেরধরে জেলার আগৈলঝাড়ায় স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় ঘাতক স্বামী ও তার ভাড়াটিয়া দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এনিয়ে শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, স্ত্রী রাশিদা বেগমকে হত্যার পর তার দশ মাস বয়সের ছেলে তানিমকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় ঘাতক তামিম শেখ। শিশুর কান্নাশুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে থানা পুলিশকে খবর দেয়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কিছুদূরে রাশিদার লাশ পরে থাকতে দেখে। ঘটনার মাত্র তিন ঘন্টার ব্যবধানে থানার ওসি গোলাম ছরোয়ার অভিযান চালিয়ে মূলহত্যাকারী রাশিদার ঘাতক স্বামী তামিম শেখকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তামিকে নিয়ে অভিযানে নেমে হত্যাকান্ডের সহযোগী রুবেল দাড়িয়া ও মাহিন্দ্রা চালক মোঃ জুলহাসকে গ্রেফতার করে। এ সময় উদ্ধার করা হয় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত।
সূত্রমতে, গত ১৯ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্ত্রী রাশিদা বেগমকে মোবাইল ফোনে ডেকে গোপালগঞ্জে নিয়ে রোহান নামক আবাসিক হোটেলে ওঠে তামিম শেখ। সেখান থেকে রাত সাড়ে আটটার দিকে সহযোগীদের সহায়তা নিয়ে রাত সাড়ে দশটার দিকে গোপালগঞ্জের ঠুঠাবান্দ্রা গ্রামের বিলে নিয়ে হাতুড়ি ও ছুরির এলোপাথারী আঘাত করে রাশিদাকে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ আগৈলঝাড়া বাইপাস সড়কের পাশে ফেলে রেখে শিশু তানিমকে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচশ; গজ দুরে ফেলে রেখে চলে যায় তামিম ও তার সহযোগীরা। এ ব্যাপারে নিহতের ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
থানা পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ঘাতক তামিম শেখ রুবেল ও জুলহাসের সাথে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে রাশিদাকে হত্যার চুক্তি করে। তবে রাশিদার স্বামী তামিম চুক্তি অনুযায়ী রুবেল ও জুলহাসকে কোন টাকা পরিশোধ করেনি বলে পুলিশকে তারা জানিয়েছে।