আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নে সাংবাদিক শ্যামল বিশ্বাসের ভিটেবাড়ির জমিতে জবর দখলের চেষ্টা পুলিশী হস্তক্ষেপে বন্দ হয়েছে। শনিবার নছিমাবাদ গ্রামের মৃত নূরালী গাজীর ছেলে রুহুল আমিন জবর দখলের চেষ্টা চালান।
নাকতাড়া গ্রামের সিদাম বিশ্বাসের পুত্র সাংবাদিক শ্যামল বিশ্বাস তার ঠাকুর দাদার আমল থেকে বংশ পরম্পরায় মাড়িয়ালা মৌজায় বিএস ১১৭৬ নং খতিয়ানের জমিতে বসবাস করে আসছেন। তাদের বসতভিটার পাশে মাড়িয়ালা মৌজায় বিএস ১১৭৬ নং খতিয়ানে ৩১৩১, ৩০৭২ ও ৩০৮০ দাগে ৫.৪১ একর জমির মধ্যে ২১ শতক জমি হাজরাখালী গ্রামের মৃত আত্তাপ গাজীর ছেলে আঃ হামিদ গাজীর নিকট থেকে তিনি ও তার ভাই সুমন বিশ্বাস ১৫/৭/২১ তাং ১৮৮৩ নং রেজিঃ কোবালা দলিলে ক্রয় করেন। উভয় জমিতে শান্তিপূর্ণ ভোগদখলিকার থাকা অবস্থায় রুহুল আমিন ঐ জমিতে তাদের অংশ আছে দাবী করে জবর দখলের চেষ্টা করে আসছে। শ্যামলের কাকা সুবল চন্দ্র বিশ্বাস জনৈক নির্মল পরামানিক ও রামপদ পরামানিকের নিকট থেকে একই দাগের জমি ২০০০ সালে ক্রয় করেন এবং ১১/২/২১ তাং তিনি রুহুল আমিনের কাছে ৭৭৪ নং দলিলে বিক্রয় করেন। অথচ দ্বাতা নির্মল ও রামপদ নামে কেউ এসএ রেকর্ডের মালিক নন এবং এমন কোন ব্যক্তিকেও তারা চেনেনা বলে জানান। বিধায় দলিলটি তঞ্চকিকতাপূর্ণ বলে দাবী করেন। অন্যদিকে শ্যামল বিশ্বাস এসএ মালিক মাদারের ওয়ারেশসূত্রে জমির মালিক এবং এসএ মালিকের থেকে ক্রয়কৃত জমির মালিক হামিদ গাজীর থেকে তিনি ও তার ভাই নিজেরা জমি ক্রয় করে দখলিকার আছেন। এ ব্যাপারে শ্যামল বিশ্বাস সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশাশুনি বরাবর পুনঃ বিচারের জন্য আপীল করেছেন। এতকিছু স্বত্তেও রুহুল আমিন আইন আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা না করে শনিবার ভাড়াটিয়া লোকজন, দখলের কাজে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে দখল চেষ্টা করলে পুলিশী হস্তক্ষেপে বন্দ হয়ে যায়। শ্যামল ও তার পরিবার জবর দখল চেষ্টাকারীদের অন্যায় তৎপরতায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বিষয়টি যথাযথ ভাবে নজরে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক শ্যামল, তার বৃদ্ধ পিতামাতা ও পরিবারের সদস্যরা।