রাজশাহীর পুঠিয়ায় (১২) বছরের এক কিশোরীকে খলিলুর রহমান (৭০) নামে এক বৃদ্ধা পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। সে সময় কিশোরীর আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। পরে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। আর এ ঘটনায় এলাকায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ভুক্তভোগি কিশোরীর বাবা-চাচাসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুত্ব ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কান্দ্রা গুচ্ছ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত খলিলুর রহমান একই গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী ও কান্দ্রা ইউপি সদস্য বদিউজ্জামান বদি বলেন, ভুক্তভোগি পরিবার ও অভিযুক্ত উভয়ে ভূমিহীন। তারা কান্দ্রা গুচ্ছগ্রামে তৈরিকৃত সরকারি ঘরে বসবাস করেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঘনকুয়াশার ছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে ওই কিশোরী বাড়ি থেকে একটু দুরে টয়লেটে যায়। সে সময় অভিযুক্ত খলিলুর রহমান ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক পাশের একটি পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে মেয়েটি পরিবার ও অভিযুক্ত পরিবারের মধ্যে সংর্ঘষ শুরু হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ভুক্তভোগি ওই কিশোরীর মা বলেন, আমাদের মেয়ের তুলে নিয়ে গিয়ে সর্বনাশ করল। সে প্রতিবাদ করায় অভিযুক্ত খলিলুর রহমানের লোকজন আমাদের পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের মারধরে আমার শ্বামি ও দেবর গুরুত্ব আহত হয়েছে। এখন আহত শ্বামি ও দেবর পুঠিয়ায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর মেয়েকে নিয়ে আমি রাজশাহী মেডিকেলে আছি। মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুঠিয়ায় ফিরে গিয়ে থানায় মামলা দায়ের করব।
থানার ওসি সোহরাওয়াদী হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষনের শিকার ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের চেস্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াধিন। ধর্ষণকে কেন্দ্র করে মারামারিতে আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে।