হাটহাজারী -রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের ডিভাইডার রাতের অন্ধকারে কে বা কারা অপসারণ করে ফেলেছে। হাটহাজারী পৌরসভার বাস স্টেশন সংলগ্ন স্হানে জননিরাপত্তার স্বার্থে সড়ক ও জনপথ বিভাগ স্হাপিত এই ডিভাইডার অপসারনের ঘটনা ঘটেছে। এতে যেকোন সময় সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কার পাশাপাশি যানজটের সৃষ্টি হবে পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন।
এ ঘটনায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের হাটহাজারীর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু আহসান মুহাম্মদ আজিজুল মোস্তাফা হাটহাজারী থানায় সড়ক নিরাপত্তার স্বার্থে স্হাপিত সড়ক ডিভাইডার সওজের অনুমতি ব্যতিরকে অপসারণের বিষয়ে অবহিতকরণ প্রসঙ্গে একটি লিখিত চিঠি দাখিল করেন। চিঠির অনুলিপি চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-হাটহাজারী রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি মহাসড়কটি একটি চার লেনের জাতীয় মহাসড়ক। সড়ক নিরাপত্তার স্বার্থে ও সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে সড়কের মধ্যখানে নির্ধারিত ডিজাইনের রোড ডিভাইডার স্থাপন করা হয়েছিল।
কিন্তু গত কয়েকদিন আগে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিণ পাশে স্হানীয় এক ফিলিং স্টেশনের সামনে স্থাপিত রোড ডিভাইডার থেকে তিনটি রোড ডিভাইডার (বারো মিটার জায়গা) রাতের অন্ধকারে কে বা কারা অপসারণ করে। অপসারণকৃত ডিভাইডার গুলো ওই ফিলিং স্টেশনে পাওয়া যায়। সড়কের ডিভাইডার গুলো অপসারণের কারণে যেকোনো মুহূর্তে মারাত্মকভাবে সড়ক দুর্ঘটনা হতে পারে। সরকারি সম্পদ রক্ষার স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য কৃতপক্ষের নিকট লিখিত চিঠি দেওয়া হয়েছে।
ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কে বা কারা ডিভাইডার গুলো অপসারণ করে আমার ফিলিং স্টেশনে রেখেছে আমি জানিনা। সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট রোধকল্পে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সতর্কীকরণ ডিভাইডার স্থাপন করলেও কোনো প্রান্তে নেই স্পিড ব্রেকার ও জেব্রা ক্রসিংয়ের চিহ্ন। এতে আরও দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।