ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌর বাজারে মোটা চালের কেজি ৫০ টাকা। সে চাল খাদ্য অধিদপ্তরের ওএমএসের (ওপেন মার্কেট সেল) মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজি চালও ১৮টাকা কেজি আটা কেনা যায়। তবে চাল/আটা কিনতে হলে ওএমএসের বিক্রয়কেন্দ্রে দাঁড়াতে হয় দীর্ঘ লাইনে। কখনও ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও মিলছে না চাল। মঙ্গলবার (১ফেব্রুয়ারি) পৌরএলাকার কয়েকটি ওএমএসের বিক্রয়কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। কিছুটা সাশ্রয়ের আশায় বিক্রয়কেন্দ্র ও ট্রাকসেলের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় সল্পআয়ের মানুষকে। রানীশংকৈল কলেজ বাজার ওএমএসের ডিলার মোকসেদ আলীর বিক্রয়কেন্দ্রের সামনে কথা হয় চাল কিনতে আসা ওই এলাকার মোস্তফা কামালের সঙ্গে।তিনি বলেন, সকাল ৯টা থেকে বিক্রয়কেন্দ্রর সামনে দীর্ঘ লাইন। দু-ঘণ্টা অপেক্ষা করে ৫ কেজি চাল কিনেছি। তাতে আমার ১০০ টাকা সাশ্রয় হয়েছে। তিনি জানান, ওএমএসের চাল প্রতি সপ্তাহে কেনেন। কখনও কখনও বরাদ্দ কম থাকায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও চাল/আটা পান না। তখন বাধ্য হয়ে বাজার থেকে চড়া দামে কিনে খেতে হয়। এদিকে বরাদ্দ না পাওয়ায় প্রতিদিন বিক্রি কার্যক্রম চালাতে পারছে না অনেক বিক্রয়কেন্দ্র। বাজারে চাল ও আটা চড়া দামে ক্রয় করতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ, সে কারণে সাশ্রয়ী দামে পণ্য দুটি কিনতে ওএমএসের দিকে ছুটছেন সল্প আয়ের মানুষ। এতে করে এখন অনেকগুন চাহিদা বেড়েছে ওএমএসের চাল-আটা বিক্রি। ডিলার মোকসেদ আলী বলেন, আগে মানুষ এসব এত বেশি কিনতো না। কিন্তু করোনা শুরুর পর থেকে প্রচুর বিক্রি বেড়েছে। সে তুলনায় বরাদ্দ না পাওয়াতে সমস্যা হচ্ছে। অনেকে চাল কিনতে এসে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছে। কয়েকটি এলাকা ঘুরে আরও দেখা গেছে, কেউ কেউ ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই নির্ধারিত স্থানে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। পণ্য নিতে হুড়োহুড়ি করছে এরপরও চাল কিনতে পারলে খুশি সাধারণ মানুষ হক সাদি বয়স্ক মহিলা বলেন, এখান থেকে চাল কিনতে পারলে কিছু সাশ্রয় হয় যা দিয়ে অন্যান্য দ্রব্য কিনতে পারি। এদিকে ক্রেতার চাপ বেশি থাকায় কিছুটা কম দামে জীবন ধারণের অপরিহার্য এ দুটি পণ্যের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন ডিলাররা। ডিলারদের দাবি, বর্তমানে একজন ডিলার সর্বোচ্চ দেড় মেট্রিক টন চাল ও এক মেট্রিক টন আটা বরাদ্দ পান। যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। এদিকে ওএমএস কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য বাজেট বরাদ্দের বাইরে তিন লাখ টন চাল ও এক লাখ টন গমের বাড়তি বরাদ্দ অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।