দ্বিতীয় দফায় টানা পাঁচদিন ধরে রাজারহাটসহ কুড়িগ্রামে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে জনজিবন স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে শিশু, বৃদ্ধসহ অনেকে জ¦র, সর্দ্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, চর্ম বসন্তসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বেশরিভাগ আক্রান্ত রোগীরা বাসা-বাড়িতে ও অল্প সংখ্যক রোগী হাসপাতাল-ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবাগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছে। অধিক শীত ও ঠান্ডার কারণে গরু-ছাগলের ডায়রিয়া ও খুরা রোগের প্রার্দূভাব দেখা দিয়েছে।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে কুড়িগ্রাম জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ আনিছুর রহমান নিশ্চিত করেন। এ অবস্থা আরও ২ থেকে ৩দিন বিরাজ করতে পারে বলে তিনি জানান।
এদিকে শীতের তীব্রতার ফলে বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে শীতে ভুগছে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আবদুর রশীদ বলেন, চলতি বছর জেলায় ৬ হাজার ৮৮৫ হেক্টর বোরো বীজতলা ও ৭ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছে। শীতের প্রকোপ থাকলেও দিনে রোদের কারণে কৃষিতে তেমন কোনো ক্ষতির প্রভাব পড়বে না। ইতোমধ্যে বোরো ধান লাগানো শুরু হয়েছে। আলুও তোলার পর্যায়ে রয়েছে।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) কুড়িগ্রাম জেনালের হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ পুলক কুমার সরকার বলেন, প্রচন্ড শীতের কারণে শীতজনিত রোগে প্রতিদিন হাসপাতালগুলোতে ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। এর মধ্যে শিশুরোগীর সংখ্যা বেশি। জ¦র-সর্দ্দি কাশি, ডায়রিয়া ও নিউমেনিয়ায় আউটডোরে প্রতিদিন গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে।
রাজারহাট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ পবিত্র কুমার রায় বলেন, শীত ও বর্ষাকালে গরু-ছাগলের খুরা রোগ হয়ে থাকে। তবে এতে তেমন কোন প্রভাব পড়বে না।
জেলা ত্রাণ ও পুণর্বাসন কর্মকর্তা আবদুল হাই সরকার জানান, শীতার্তদের জন্য নতুন করে কোন বরাদ্দ পাওয়া যায় নাই। ইতোমধ্যে ৭০ হাজার পিস কম্বল উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে।