ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে আগুনে পুড়ে যাওয়া লঞ্চ অভিযান-১০ এর মালিক মো: হামজালাল শেখকে বৃহস্পতিবার জামিন দিয়েছে বরগুনার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত। মো: হাম জালাল শেখ বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে।
জানা গেছে,, লঞ্চ অভিযান-১০ ঢাকা থেকে গত ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ বরগুনার উদ্দেশে এসে রাত ৩ টায় ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে হঠাৎ আগুন লাগে। মুহুর্তের মধ্য লঞ্চে আগুন ছড়িয়ে যায়। এতে ৪৭ জন যাত্রী মারা যায় এবং ৭২ জন যাত্রী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। বহু যাত্রী নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় জনস্বার্থে অ্যাডভোকেট মো: নাজমুল ইসলাম বাদী হয়ে বরগুনা চীফ জুডিসিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৬ ডিসেম্বর লঞ্চের মালিক মো: হা জালাল শেখকে আসামি করে একটি মামলা করে। ঢাকার সূত্রাপুর থানায় দাখিলকৃত একটি মামলায় মালিককে ২৭ ডিসেম্বর গ্রেফতার করে। বরগুনা থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো: শহিদুল ইসলাম বরগুনা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে লঞ্চ মালিককে ৪ জানুয়ারী দৃশ্যত: গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে। চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাহবুব আলম ওই দিন মালিককে দৃশ্যত (শ্যোন এ্যারেস্ট) গ্রেফতার দেখায়। আসামীর পক্ষে ১ জানুয়ারী জামিনের আবেদন করলে বৃহস্পতিবার শুনানীর দিন রাখেন। বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের শুনানী শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।
আসামীর আইনজীবী এম মজিবুল হক কিসলু বলেন, আমি আদালতে বলেছি, একই বিষয় নিয়ে একাধিক আদালতে মামলা চলতে পারে না। নৌযান সংশ্লিষ্ট মামলার বিচার করার জন্য অভ্যন্তরীন নৌ চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ এর ধারা ৪৭ অনুযায়ী নৌ আদালত প্রতিষ্ঠিত করা হয়। ওই অধ্যাদেশের ৭৩ ধারা অনুযায়ী নৌযান সংশ্লিস্ট মামলার বিচার করার জন্য নৌ আদালতই উপযুক্ত। আমরা আদালতে আরও বলেছি বাংলাদেশ সংবিধা ৩৫ (২) অনুচ্ছেদে বলা আছে এক অপরাধের জন্য কোন ব্যক্তিকে একাধিকবার ফৌজদারীতে সোপর্দ ও দন্ডিত করা যাবে না।
রাস্ট্র পক্ষের সিএসআই জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি জামিনের বিরোধিতা করেছি।