গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় অসময়ে ভারী বর্ষণের কারণে তরমুজ ও ফুটি চাষীদের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। ভারী বর্ষণে শত শত হেক্টর জমির তরমুজ ও ফুটির বীজের চারা তৈরীর মাদা এবং টপ নষ্ট হয়ে গছে। যার ফলে এসব তরমুজ ও ফুটি চাষীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
গত শুক্রবার দিবাগত রাতে কোটালীপাড়া উপজেলায় এ ভারী বর্ষণ হয়। এ বর্ষণে কলাবাড়ি ইউনিয়নের ৩শত হেক্টর জমির তরমুজ ও ফুটির মাদা এবং টপ নষ্ট হয়ে গেছে বলে উপজেলা কৃষি অফিসসূত্রে জানাগেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কৃত্তিবাস পান্ডে বলেন, কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নে এ বছর ৬শত হেক্টর জমিতে তরমুজ ও ফুটি চাষের কথা রয়েছে। এর মধ্যে আনুমানিক ৩শত হেক্টর জমিতে তরমুজ ও ফুটি চাষের জন্য মাদা এবং টপ তৈরী করা হয়েছিল। এসব মাদা ও টপ ভারী বর্ষণে নষ্ট হয়েগেছে।
উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের হিজলবাড়ি গ্রামের তরমুজ ও ফুটি চাষী সুখচাঁদ বাড়ৈ বলেন, আমি ৩বিঘা জমিতে তরমুজ চাষের জন্য মাদা তৈরী করেছিলাম। ভারী বর্ষণে আমার সমস্ত মাদা নষ্ট হয়েগেছে। জমিতে পানি জমেছে। এই পানি না শুকালে নতুন করে মাদা তৈরী করা যাবে না। নতুন করে মাদা তৈরী করতে প্রায় ২ সপ্তাহ সময় লাগবে। এর ফলে আমাদের দেরীতে তরমুজ ফলবে। যার কারণে আমাদের আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে।
একই গ্রামের সজল বাড়ৈ বলেন, আমি আমার ২বিঘা জমিতে ফুটি চাষের চারা তৈরীর জন্য টপে বীজ লাগিয়ে ছিলাম। আমার এই ২বিঘা জমির ফুটির চারার টপ ভারী বর্ষণে নষ্ট হয়েগেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার নিটুল রায় বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাতে ভারী বর্ষণে কলাবাড়ি ইউনিয়নের তরমুজ ও ফুটি চাষীদের মাদা ও টপ নষ্ট হওয়ার কারণে অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতির পরিমান নির্ণয়ে কাজ করছি।