বিদ্যার দেবী সরস্বতী। শুভ্র তার গায়ের রঙ। দেবীকে বিদ্যা, সঙ্গীত, বাণী ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রীও মনে করেন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। দেবীতে সন্তুষ্টি করে তার আশীর্বাদ পেতে এবার জাকজমকপূর্ণভাবে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপিঠ সরকারি মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজে সরস্বতীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে কলেজটির আয়োজনে ও বাংলা বিভাগের শিক্ষক সুব্রত নন্দীর সার্বিক সহযোগিতায় কলেজ অডিটরিয়ামে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল থেকে উপজেলা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে পূজা মন্দিরে ভিড় জমাতে থাকে শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। জ্ঞান লাভের আশায় মায়ের রাতুল চরণে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা। অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে কল্যাণময়ী দেবীর পাদপদ্মে প্রণতি জানায় তারা। পূজা চলাকালীন সময় উলু ও শঙ্খ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে পূজামন্ডপ।
সুদীপ্ত সরকার ও অপু দাস নামের দু’শিক্ষার্থী বলেন, এবার জাকজমকপূর্ণভাবে সরকারি মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজে সরস্বতী মায়ের পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মা সরস্বতী আমাদের সকলকে বিদ্যা, বুদ্ধি দান করুক আমরা মায়ের কাছে এটাই কামনা করেছি।
শ্রাবনী বিশ্বাস ও ঝর্ণা মোহন্ত নামের অপর দু’শিক্ষার্থী বলেন, মা সরস্বতী বিদ্যার দেবী। আমরা যেহেতু শিক্ষার্থী, আমরা যেন ঠিকমত পড়াশোনা করতে পারি সেটা মায়ের কাছে কামনা করেছি। পড়াশোনার পাশাপাশি আমরা যেন ভালোমত সাহিত্য, সাংস্কৃতিক চর্চা শুদ্ধ ভাবে করতে পারি মা আমাদের সেই আশীর্বাদ করুক এই কামনা করেছি।
বাংলা বিভাগের শিক্ষক সুব্রত নন্দী জানান, প্রতি বছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পুজো উৎযাপিত হয়। মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতেই সরস্বতী প্রকট হয়েছিলেন। সরস্বতীকে সঙ্গীত, শিল্প, বাণী, বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মনে করা হয়। এদিন বিদ্যারম্ভ করলে জ্ঞান বৃদ্ধি হয়। এই দিনটি যে কোনও শুভ কর্ম সম্পন্ন করার জন্য উৎকৃষ্ট। পুজা অনুষ্ঠানে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।