প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই। যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রথম অবলম্বন হচ্ছে রাস্তা। রাস্তায় চলাচলের মাধ্যমে এক এলাকার মানুষ অন্য এলাকার মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে। যোগাযোগ ব্যবস্থা যত উন্নত হবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান তত উন্নত হবে। রাখালবুরুজ ইউনিয়নের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য নিজ উদ্যোগে রাস্তা নির্মাণ করে দিলেন সমাজসেবক খায়রুল বাসার নয়ন।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ বন্যাকবলিত এলাকা। বন্যায় এ ইউনিয়নের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তুলনামূলক নি¤œভূমি হওয়াতে বর্ষার সময় পানি জমে থাকে। রাখালবুরুজ ইউনিয়নের নুনতলা পূর্ব পাড়ার জনগোষ্ঠীর জন্য নিজ উদ্যোগে নুনতলা পূর্ব পাড়া থেকে চকমাকড়া পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার মাটির রাস্তা নির্মাণ করে দিলেন সমাজসেবক খায়রুল বাসার নয়ন। তার এই মহৎ উদ্যোগের কারণে এলাকাবাসীর মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী জানান নয়ন সাহেব নিজ উদ্যোগে আমাদের চলাচলের রাস্তা নির্মাণ করে দিয়েছেন তাই আমরা খুব খুশি। আমরা এখন নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারবো। আমাদেরকে এখন আর হাটবাজার, আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে যেতে নৌকার উপর নির্ভরশীল হতে হবেনা। এলাকাবাসী জানাই রাস্তা না থাকার কারণে এতোদিন তারা খুব কষ্টে যাতায়াত করেছেন। কোথাও যেতে তাদের অনেক কষ্ট করতে হয়। আত্মীয়স্বজন তাদের বাড়িতে আসতে চায়না এবং কি রাস্তা না থাকার কারণে তাদের সাথে কেউ আত্মীয়তাও করতে চাইতোনা। নতুন এই রাস্তা তাদের জীবন যাত্রার মান বদলে দিবে বলে তারা জানান।
রাস্তার নির্মাণের ব্যাপারে জানতে চাইলে খায়রুল বাসার নয়ন বলেন, আমার ইউনিয়নের নুনতলা পূর্ব পাড়ার জনগোষ্ঠীর চলাচলের কোন রাস্তা নেই। দরিদ্র এই জনগোষ্ঠীর কোন সামর্থ্য নেই তারা একটা নতুন রাস্তা নির্মাণ করবেন। তাদের কোথাও যেতে অনেক কষ্ট করতে হতো। তাদের কষ্ট লাঘবের জন্য আমি নিজ অর্থায়নে তাদের চলাচলের রাস্তা নির্মাণ করে দিলাম। এতে করে তারা খুব সহজেই সবার সাথে নতুন করে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবে। আমার ইউনিয়নের মানুষ ভাল থাকলেই আমি ভাল থাকবে।