১ম বর্ষ স্নাতক শ্রেণীতে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) প্রথম ধাপে ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয় ২৭ জানুয়ারি। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১টি আসনের বিপরীতে ১০৫ টি শূন্য আসন ছিল। পরবর্তীতে অটোমাইগ্রেশনের ফলে ভেটেরিনারি এনিম্যাল ও বায়োমেডিকেল সায়েন্সেস অনুষদ, কৃষি অনুষদ ও মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সকল আসন পূর্ণ হয়েছে। অনুষদ তিনটির সকল আসন পূর্ণ হওয়ার পর প্রকাশিত অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ২৯ জন, কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদে ৩০ জন এবং বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং অনুষদে ৮ জন সহ মোট ৬৭ জন নতুন করে ভর্তি হবে।
সিকৃবি ডিন কাউন্সিল ও ভর্তি পরীক্ষা কমিটি-২০২১ এর আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুন জানান, অটোমাইগ্রেশনের পর ভেটেরিনারি এনিম্যাল ও বায়োমেডিকেল সায়েন্সেস অনুষদ, কৃষি অনুষদ ও মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের আসনগুলো মাইগ্রেশন প্রক্রিয়ায় পূর্ণ হওয়ায় কাল নতুন করে বাকি তিনটি অনুষদে ৬৭ জনকে ভর্তি করা হবে।
তিনি আরো জানান, যারা ডকুমেন্টস জমা দিয়ে ভর্তি চুড়ান্ত করেছে কিন্তু তাদের ডিগ্রি বা বিশ্ববিদ্যালয় অটোমাইগ্রেশনের কারণে পরিবর্তন হয়েছে, তাদের ডকুমেন্টসসমূহ বিশ্ববিদ্যালয় নিজ দায়িত্বে সংগ্রহ করে নেবে। তাদেরকে নতুন করে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে হবে না। শুধুমাত্র অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ৬৭ জনকে ভর্তি হতে হবে।
আজ সকাল ১০ টা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ও দ্রুত ভর্তি সম্পন্ন করতে ভর্তি পরীক্ষা কমিটি বেশ কিছু নির্দেশনা প্রদান করেছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথমে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিকৃবি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে হবে, এপর ধারাবাহিকভাবে সংশ্লিষ্ট অনুষদ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর, প্রক্টর কার্যালয়, সংশ্লিষ্ট হল প্রভোস্ট, রুপালি ব্যাংক লিঃ সিকৃবি শাখা এবং সবশেষে পুনঃরায় সংশ্লিষ্ট অনুষদে উপস্থিত হয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
উল্লেখ্য, অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির পর কেন্দ্রীয়ভাবে আর কোন মাইগ্রেশনের সুযোগ থাকবে না। এছাড়াও শূন্য আসন সাপেক্ষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত কি হবে তা জানা যাবে ৮ ফেব্রুয়ারিতে।