কয়লার দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশির ভাগ ইট ভাঁটা চলতি মৌসুমে বন্ধ রয়েছে। তার উপর হঠাৎ অসময়ে টানা বৃষ্টির কারণে ইট ভাটার ব্যাপক ক্ষতি সাধন ভাঁটা মালিকরা মাথায় হাত দিয়ে বসেছে। এ যেন মরার উপর খড়ার ঘাঁ। যার কারণে অবকাঠামো উন্নয়ন মারাত্বকভাবে ব্যহত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত হতে শনিবার পর্যন্ত গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে হঠাৎ টানা বৃষ্টি প্রবাহিত হয়। সে কারণে জন জীবন বিপর্যস্তসহ ইটভাটা মালিক এবং আলুচাষিদের অপুরনীয় ক্ষতি সাধন হয়েছে। বর্তমান সমাজের সকল স্তরের মানুষজন ইটের ঘর তৈরি করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। টিনের ঘরের প্রতি অনেকের আগ্রহ কমে গেছে। ঠিক সেই মর্হুতে নানা প্রতিকুলতায় ইট, রর্ড, সিমেন্ট ও বালুর দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকায় বিপাকে ঘর নির্মাণ কারিগণ। উপজেলা ভাঁটা মালিক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, উপজেলার ২৬টি ইটভাটার মধ্যে কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় ১০টি ভাঁটা বন্ধ রয়েছে। হঠাৎ বৃষ্টির কারণে প্রতিটি ইট ভাটায় ১৫ হতে ২০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। তিনি আরও বলেন গত বছর কয়লার টনছিল ১১ হাজার টাকা। চলতি মৌসুমে তা বেড়ে দাড়িয়েছে ২২ হাজার টাকা। কয়লার দাম বৃদ্ধির সুনিদিষ্ট কোন কারণ আজও জানা যায়নি। এভাবে কয়লার দাম বাড়তে থাকলে আগামীতে সকল ইটভাটা বন্ধ হয়ে যাবে। অবকাঠামো নির্মাণকারী শান্তিরাম গ্রামের ছায়েদ আলী জানান, বর্তমানে ১নং এক হাজার ইটের দাম ১২ হাজার টাকা। গত বছর যার দাম ছিল ৮ হাজার টাকা। যে হারে ইটের দাম বাড়ছে ,তাতে করে ইটের ঘর নির্মাণ করা যাবেনা। ঠিকাদার জাহাঙ্গীর আলম জানান. সি্িডউল মোতাবেক ঠিকাদারী নির্মান কাজ করা সম্ভব হচ্ছেনা। কারণ বর্তমানে ইটের দাম যে হারে বেড়ে চলছে তাতে করে ঠিকাদারী কাজ করে লোকসান গুনতেহবে। তিনি আরও বলেন ইটের পাশাপাশি রড়, সিমেন্ট, বালুরও দাম বেড়ে গেছে। এভাবে সকল উপকরণের দাম বাড়তে থাকলে উন্নয়ন মারাত্বকভাবে ব্যহত হবে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, প্রাকৃতি দুর্যোগে আসলে কার হাত থাকেনা। অসময়ের বৃষ্টি ইটভাটার অনেক ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি সরকারের নজরে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।