কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে অজ্ঞাত পরিচয়ে এক ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল ৮টার দিকে নাগেশ্বরী-ফুলবাড়ী সড়কের সন্তোষপুর ইউনিয়নের বানিয়াটারী হাড়িয়ার ডারা নির্মাণাধীন ব্রিজের খাল থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করেন তারা। স্থানীয়রা জানায়, সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে রাস্তায় হাঁটাচলার সময় হঠাৎ একটি নিথর দেহ দেখতে পায় পথচারীরা। পরে ট্রিপল নাইন (৯৯৯)সহ নাগেশ্বরী থানায় খবর দেন তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে বিষয়টি পাশর্^বর্তী ফুলবাড়ী থানাকে জানায় নাগেশ্বরী থানা পুলিশ। পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে মরহুমের ছেলে জামিনুল ইসলাম নাগেশ্বরী থানায় এসে তার পিতার লাশ সনাক্ত করে। তার পিতার নাম আবদুল খালেক ওরফে খেলাটু মিয়া (৫৫)। তিনি ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের পানিমাছকুটি গ্রামের মৃত, ছ্যাকা মামুদের ছেলে।
স্থানীয় মফিজের মোড়স্থ কাজম আলী (৪৫) নামের স্থানীয় এক দোকানদার জানায় অজ্ঞাত ওই ব্যাক্তি তার দোকান থেকে গতকাল সন্ধ্যার দিকে ১০ টাকা দামের একটি পাউরুটি কিনে খায়। পরে কোথায় গেছে জানেন না তিনি। সকালবেলা মানুষের ছোটাছুটি ও ভিড় দেখে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন ওই ব্যাক্তির মরদেহ পরে আছে। তবে তাকে চেনেন না তিনি। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুর রশিদ সরকার জানায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন অপরিচিত এক ব্যাক্তির মরহে পরে আছে। পরে তিনি থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেন।
মরহুম আবদুল খালেকের প্রতিবেশী মোজাম্মেল হক মাস্টার ও তার বড় ছেলে জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। কর্মক্ষম না হওয়ায় স্ত্রী অনেক আগে ছেড়ে চলে যান। তার তিন ছেলে এক মেয়ের কেউই তার খোঁজ খবর নিত না। তিনি ২দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।
এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী থানার অফিসরি ইনচার্জ নবীউল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করে জানান, মৃত আবদুল খালেক শারিরীকভাবে অসুস্থ ছিলেন। এর আগে দু’বার স্টক করেছেন। এভাবে মাঝে মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়তেন এবং বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেন। ধারনা করা হচ্ছে খালে পড়ে তার মৃত্যু হতে পারে। পরিবারের অভিযোগ না থাকায় লাশের সুরতহাল করে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।