যশোরের কেশবপুরে পুর্বাংশের একটি বিলের কৃষকের বোরো ধান আবাদের প্রস্তুতি নিলেও মাছের ঘেরের ভেড়ি ধ্বসে বিলের ৫শ বিঘা জমি প্লাবিত ও ৬টি গ্রামের প্রায় ৩শ“ পরিবার পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, যশোরের কেশবপুরের পাঁজিয়া ও সুফলাকাটি ইউনিয়নের ঘেরের ভেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় ৬ টি গ্রামে ৩শ,পরিবার পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে। ঘের মালিক আকবর হোসেন বলেন, মনিরামপুর ও কেশবপুরের অধিকংশ মৎস্য ঘেরের পানি সেচ দিয়ে খালের মধ্যে দেওয়ায় খালের পানি উপছে পড়ায় সুফলাকাটি ইউনিয়নের বেতিখোলা ও পাঁজিয়া ইউনিয়নের মধ্যে বেতিখোলা খালের পশ্চিম অংশে একটি যায়গা থেকে ভেড়ি বাঁধ ধ্বসে যায়। দ্রুত ভেড়ি বাধটি মেরামতের চেষ্টা করা হলে তা ব্যার্থ হয়।
২৬০ বিঘা জমির ঘেরটিতে তার প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মৎস্য ঘের মালিক দাবি করেছেন। পাঁজিয়া ইউনিয়নের মনোহরনগর-পাথরঘাটা গ্রামের আংশিক এলাকা, মাদারডাঙ্গা গ্রামের আংশিক, বাগডাঙ্গা - মনোহরনগর গ্রাম সম্পূর্ন এ ছাড়া সুফলাকাটি ইউনিয়নের বেতিখোলা গ্রামের আংশিক এলাকা তলিয়ে গেছে। বেতিখোলা গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন গত শুক্রবার বিকেলে ভেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে ঘরের মধ্যে পানি, উঠানে পানি, বাড়ির চারপাশে পানি থই থই করছে। কলেজ পড়-য়া মনোহরনগর গ্রামের রেশমা খাতুন জানান,বাড়িতে পানি উঠায় থাকা - খাওয়া বাথরুমে যাওয় খুবই কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে। মাদারডাঙ্গা গ্রামের তরাফ আলী বিশ্বাস বলেন, শনিবার বিকেলে তার চাচাতো বোন নবু বেগম (৬০) মৃত্যুবরণ করেন। বাবার বাড়ির পাশে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতো। তার শশুর বাড়ি তালা উপজেলার জিয়ালা নলতা গ্রামে। তরাফ আলী বিশ্বাস আরও জানান তার বোনের শেষ ইচ্ছে ছিল পিতা মাতার কবরের পাশে থাকার কিন্তু হঠাৎ বাঁধ ভেঙ্গে কবরস্থান তলিয়ে যাওয়ায় নবু বেগমের ইচ্ছে পুরন হলো না। কিনা বিশ্বাসের কবরস্থানে পানি থাকায় শ্বশুরালয়ের বাড়িতে তার লাশ দাফন করা হয়।
পাঁজিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল বলেন, বাঁধ ভেঙ্গে ইউনিয়নের ৫টি গ্রামের প্রায় ৩৫০টি পরিবার পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে।পিতার কবরস্থানে পানি থাকায় শ্বশুর বাড়িতে তার লাশ দাফনের ঘটনা সত্য।