দিঘলিয়ার পাটকলগুলো পাট সংকটে বন্ধ হওয়ার দ্বার প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে এমমই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মধ্যমে। দিঘলিয়ার বিজ্ঞ মহলের অভিমত দিঘলিয়ার পাটকলগুলো যদি পাট সংকটে পড়েই থাকে তবে শ্রমিক পরিবারের স্বার্থে মিলগুলো তদন্ত সাপেক্ষে কার্যকরি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
দিঘলিয়ায় ব্যক্তি মালিকানাধীন জুট মিলে পাট সংকট চরমে, বিপাকে হাজারো শ্রমিক৷ এমনি খবর ছড়িয়েছেন দিঘলিয়া উপজেলার দিঘলিয়াস্থ জামান জুট করপোরেশন নামক মিলের .কার্যনির্বাহী পরিচালক মোঃ রিপন মোল্লা। তিনি আরও জানান, খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় ব্যক্তি মালিকানায় ৩ টি জুট মিল রয়েছে। যার মধ্যে একটি হলো দিঘলিয়াস্থ জামান জুট মিল কর্পোরেশন। জুট মিলটিতে প্রায় ৭ শতাধিক শ্রমিক কর্মরত আছেন। তাদের জিবন জীবীকা নির্বাহ করে এই মিলের চাকা ঘুরলে।
কিন্তু চলতি বছরে পাটের মুল্য বৃদ্ধি হওয়ার কারণে জুট মিলটি কার্যত বন্ধের পথে। মিলের কার্যনির্বাহী পরিচালক মোঃ রিপন মোল্লা জানান, জুট মিলটি ব্যাংক লোন ছাড়া চালিয়ে যাচ্ছি দির্ঘদিন। কিন্তু বর্তমানে নগদ টাকা দিয়েও পাট কিনতে পারছি না।এমত অবস্থায় আমাদের প্রথম দিকের কেনা পাট দিয়ে মিলটি কোন রকমে চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরো জানান, কিছু অসাধু ব্যাবসায়ীগন পাট ক্রয় করে মজুদ রাখার কারণে আমরা জুটমিল গুলো চলতি বছরে চরম বিপাকে আছি। আমাদের মিলসহ দিঘলিয়ায় সাগর জুটমিল, মন্ডল জুটমিল মিলে কয়েক হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান। আজ সেই হাজার হাজার শ্রমিকদের জীবন জীবীকা অনিশ্চিত।
এবিষয়ে জামান জুট মিল এর কার্যনির্বাহী পরিচালক মোঃ রিপন মোল্লা সাধারন মানুষের পক্ষ ও ব্যক্তি মালিকানা জুটমিলের দিকে সুদৃষ্টি রাখার জন্য পাট মন্ত্রণালয়সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। মিলগুলোর পাট সংকট নিয়ে কথা হয় দেয়াড়া জুট টেক্সটাইল মিলের(মন্ডল মিল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শহিদুল ইসলামের সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, মন্ডল মিলে কোন পাটের সংকট নেই। আমাদের মিলের প্রডাকশন গত তিন মাসে একই রকম আছে এবং থাকবে। পাটের বাজারতো একরকম থাকবেনা এটাই স্বাভাবিক। আমাদের পাট কেনা ছিল। এখনও কিনছি। পাটের কোন সংকট নেই।
এদিকে কথা হয় মনিরুজ্জামান নামক একজন পাট ব্যবসায়ীর সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, গত বছরও পাটের বাজার বর্তমানের মতই চড়া ছিল। এ বছরের শুরুতে হঠাৎ করে বাজার দর নেমে গেল। প্রত্যেক পাট ব্যবসায়ী বছরের শুরুতে লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনলো। এটার একমাত্র অনুসন্ধানী কারণ ছিল দেশের অভ্যন্তরীন মিল মালিকরা যাতে কম দামে কাঁচা পাট কিনে মিল চালু রাখতে পারে। সেদিনও কৃষক বাঁচাও,পাটের বাজার বাড়াও এমনি শ্লোগানে নানা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
দৌলতপুরের একজন স্বনামধন্য পাট ব্যবসায়ী মোঃ কাফি শরীফ এ প্রতিবেদককে জানান, পাটের বাজার ওঠানামা করবে এটাই স্বাভাবিক। পাট আমাদের দেশের নিজস্ব পন্য। অনেক মিল মালিক কম মূল্যের বাজারে পাট কিনে বাড়তি বাজারে বিক্রয়ও করেছেন। মিল বন্ধ করে শ্রমিক বেকারের হুমকি দিয়ে সরকারের কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা আদায় করা সেটা আলাদা কথা।
পাট সংকটে মিল বন্ধ হয়ে যেতে পারে এ ব্যাপারে কথা হয় দিঘলিয়ার সেনহাটি সাগর জুট স্পিনিং মিলের ডিজিএম এ্যাডমিনিস্ট্রেশন মোঃ রবিউল ইসলামের সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান,সাগর জুট স্পিনিং মিলে কোনো পাট সংকট নেই। যে পাট আছে মিল সারা বছর চালালেও পাটের কোনো প্রকার সংকট দেখা দিবেনা।
এ ব্যাপারে কাঁচাপাট ব্যবসায়ীদের অভিমত দিঘলিয়ার জামান জুট মিল করপোরেশনের নিজস্ব কোনো দুর্বলতা ঢাকার জন্য মিলে পাট সংকটের মিথ্যা তথ্য প্রচার করিয়েছেন এবং ঢালাও ভাবে পাট ব্যবসায়ীদের নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালিয়েছেন।