শেরপুরের নকলা উপজেলার আয়রাকান্দা গ্রামের শিক্ষিত এক বেকার যুবক আফজাল হোসেন লাল মিয়া নামে এক যুবক সূর্যমুর্খী চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। তিনি উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে সরকারী নানা রকম কৃষি উৎপাদন করে সফল কৃষক হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি এবার তার আঙ্গিনায় ৫০ শতাংশ জমিতে করেছেন সূর্যমুখী ফুল চাষ। তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্যাটার্ন ভিত্তিক একক প্রদশর্নী এর মাধ্যমে নকলা কৃষি অফিস থেকে দুই কেজি সূর্যমুখী হাইসান ৩৩ জাতের বীজ সংগ্রহ করেন। কৃষি অফিস এই ফুল চাষের জন্য বিনামূল্যে ২০ কেজি সার সহ নানাভাবে তদারকি করছেন। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ৫০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করে বাম্পার ফলনের সম্বাবনা রয়েছে। তিনি তার জমিতে নভেম্বরের শেষ দিকে সূর্যমুর্খী বীজ বপন করেন মার্চ মাসের প্রথমে ফসল হিসাবে ঘরে উঠবে বলে আশা করছেন।এ সূর্যমুখী আবাদ করে ১ লাখ ২০হাজার টাকার মত ফসল উৎপাদিত হতে পারে বলে আশা করছেন। প্রতিদিনই সব বয়সের নারী পুরুষেরা এ মনোরম দৃশ্য দেখতে আসে। বিশেষ করে উঠতি বয়সের যুব যুবতিরা এ দৃশ্য দেখতে ভীড় জমাছে।এ সূর্যমুখী আবাদ লাভবান হলে আশেপাশের আরো কৃষক এগিয়ে আসবে। কৃষিতে নতুন মাত্রা যোগ করে এলাকাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এই যুবক কৃষক। তার আর অভাবের কাছে হার মানতে হবে না। এ ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ন কবির প্রতিদিনই এ কৃষককে পরামর্শ দিচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবদুল ওয়াদুদ জানান, এবার পরীক্ষা মূলকভাবে ৩৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও আবাদ হয়েছে ৩ হেক্টর জমিতে। ভোজ্য তেলের চাহিদা মিটাতে এ সূর্যমুখী আবাদ করা হচ্ছে। প্রতি বিঘা জমিতে একজন কৃষকের ৮-১০ হাজার খরচ করলে লাকড়ি সহ ৩০ হাজার টাকার মত বিক্রি করতে পারবে বলে আশা করছেন এই কৃষি কর্মকর্তা।