রহনপুর পৌর মেয়র মতিউর রহমান খাঁনসহ অন্যরা জামিনে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও রহনপুর কলেজ মোড়ে উৎসুক জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন তিনি। এরআগে রহনপুর পৌর এলাকার এক নারীর দায়ের করার মামলায় তিনিসহ ২৬ জন গত সোমবার থেকে জেলে ছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁরা আদালতে জামিন আবেদন করলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মোহা. আদীব আলী তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। ওইদিন সন্ধ্যায় জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পায়ঙ সকলেই। সেখানে পৌর এলাকার উৎসুক জনতা তাঁকে ফুলেল তোরা দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
মেয়রকে শুভেচ্ছা জানাতে আসা রহনপুর পৌর এলাকার নাগরিক নিশান বাবু জানান, রহনপুর পৌর সভার মেয়র মতিউর রহমানসহ ২৬জন আদালতে জামিন পাওয়ায় খবর শুনে জেল হাজত গেটে ছুটে যান। সন্ধ্যায় জেল থেকে মুক্ত হওয়ার পর অসংখ্য নাগরিক মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে মেয়রকে এলাকায় নিয়ে আসেন। রহনপুর পৌর এলাকার প্রবেশমূখ কলেজ মোড়ে নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। সেখানে নাগরিকদের শান্ত থাকার অনুরোধ করেন পৌর মেয়র মতিউর রহমান খাঁন। পরে তিনি উপজেলা পরিষদ চত্বরস্থ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এমদাদুল হক এমদাদ এর আগে জানিয়েছিলেন, মতিউর রহমান খাঁন (পৌর মেয়র)সহ অন্যরা ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর রহনপুর পৌরসভার নুনগোলা প্রসাদপুর মহল্লার মৃত আনোয়ারুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা বেগমের বাড়ির প্রাচীর ভেঙে প্রাচীরের ইট, রড ট্রাকযোগে নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় ওই মাসের ১৬ সেপ্টেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর আমলী আদালতে মতিউর রহমান খাঁনসহ ২৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নাজমা বেগম। গত ২৪ জানুয়ারি মেয়রসহ আসামিরা আদালতে হাজির হলে আদালত শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার ধার্য দিনে শর্তপূরণ না করে মেয়রসহ অন্যরা আদালতে হাজির হলে আদালত তাদের জামিন বাতিল করে জেলহাজতে পাঠান।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র মতিউর রহমান খাঁনের আইনজীবী নজরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, নাজমা বেগম পৌরসভার জায়গা দখল করে পৌর বিধি লংঘনের মাধ্যমে তার বাড়ির প্রাচীর নির্মাণ করছিলেন।