লালমনিরহাট রেলওয়ের জুনিয়র ট্রাফিক পরিদর্শক(জেটিআই) ছহির উদ্দিন নিজ অফিসকেই করেছেন ডাইনিং, রান্না আর ঘুমানোর বিছানা। অফিস রুমটি দেখলে বাসা মনে হলেও এটা তার অফিস রুম।
জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগিয় শহর লালমনিরহাট। এ জেলা শহর থেকে পুরো উত্তরাঞ্চলের রেলওয়েকে নিয়ন্ত্রন করা হয়। রেলওয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য শত শত কোয়াটার নির্মান করা হলেও ব্যবহার অনুপযোগি দেখিয়ে অধিকাংশ রয়েছে অবৈধ দখলদারের দখলে ও পরিত্যাক্ত হিসেবে। অপর দিকে আবাসন সংকট দেখিয়ে সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিতে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা অফিসকেই তৈরী করেছেন বসবাসের রুম। সেই রুমেই চলছে রান্না। রয়েছে ডাইনিং এবং বিছানা পত্র।
এমনই ভাবে লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন ভবনের দ্বিতীয় তলায় জুনিয়ার ট্রাফিক পরিদর্শক ছহির উদ্দিনের অফিস। কাগজ কলমে অস্থায়ী অফিস কক্ষ উল্লেখ থাকলেও বাস্তবতায় সেই রুমেই তিনি বসবাস করছেন দীর্ঘ দিন ধরেই। মাঝে মধ্যে ঊর্দ্ধতন কর্তারা পরিদর্শনে এলে ওই সময় টুকুর জন্য সব পরিস্কার করে অফিসের পরিবেশ তৈরী করা হয়। পরিদর্শন শেষ হলে পুনরায় বাসা হিসেবে ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
লালমনিরহাট রেলওয়ের জুনিয়ার ট্রাফিক পরিদর্শক ছহির উদ্দিন বলেন, এটি আমার বাসা নয় অফিস। কিন্তু কাজ শেষে ক্ষানিকটা বিশ্রাম নিয়ে থাকি এখানে। মুলত, আমার বাসা রংপুর শহরে। সেখান থেকে এসে অফিস করি। আমার কাজতো মাঠেই বেশি।
লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার শাহ মোহাম্মদ সুফি নূর বলেন, এর আগে পরিদর্শনে গিয়ে তার অফিসে বাসার আসবাবপত্র দেখতে পেয়েছিলাম। যা সড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পুনরায় অফিসকে বাসা বানিয়েছেন। তা আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।