সায়হাম গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মো” কায়সারের দাফন সর্ম্পূন হয়েছে। শনিবার সকাল সোয়া ৬টায় মাধবপুর উপজেলার ইঠাখোলা সাহেব বাড়ী মাঠে তার জানাযার নামায শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মার কবরের পাশে দাফন করা হয়।তার জানাযায় জনপ্রতিনিধি,সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন। শুক্রবার ভোর ৫টায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সৈয়দ মোঃ কায়সারকে প্রান দন্ড দেয়। এ রায় থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ(পুনর্বিবেচনার) আবেদন করেছিলেন।
মাধবপুর উপজেলার ইটাখোলা গ্রামের মরহুম সৈয়দ সঈদউদ্দিন ও হামিদা বানুর বড় ছেলে সৈয়দ মোঃ কায়সার জম্ম ১৯৪০ সালের ১৯ জুন। ১৯৭০ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে পূর্ব পাকিস্থানের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। জিয়াউর রহমান সরকারের সময় ১৯৭৮ সালে আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় হয় তিনি। ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১৭ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে এমপি নির্বাচিত হয়। পওে তিনি বিএনপিতে যোগ দান করেন এবং হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হয়। এক পর্যায়ে এরশাদ সরকারের সময়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন এবং জেলা জাতীয় পার্টিও সভাপতির দায়িত্ব পান। ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে দু’বার এমপি নির্বাচিত হন। এবং ১৯৮৬ সালে হুইপ ও ১৯৮৮ সালে কৃষি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।