বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে চরে চরে জমি থেকে মরিচ তোলার ধুম পরেছে। এছাড়াও মরিচ তোলার পর শুকানো ও বাজারজাত করার জন্য প্রসেসিং করতে নারী শ্রমিকদের কদর বেড়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ এলাকায় সবচেয়ে বেশি মরিচ চাষ করা হয়েছে। এখন চলছে জমি থেকে মরিচ তোলার ধুম। কেউবা তুলছেন কাঁচা মরিচ, আবার কেউবা তুলছেন গাছ থেকে বাছাই করে একটি একটি করে পাকা মরিচ। তোলার পর সেই মরিচ চাতালে, বাড়ীর আঙ্গিনায় বা পতিত কোন জায়গায় শুকানো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন চরের চাষীরা। আবার তা বাজারজাত করার জন্য প্রস্তুত করতে হচ্ছে শুকানো মরিচ ছাড়াও কাঁচা-পাকা মরিচ। চরের উৎপাদিত মরিচ নিয়ে বিভিন্ন রকমের কর্মযজ্ঞে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন বয়সী নারী শ্রমিক। নারী শ্রমিক ছাড়া চিন্তা করাই বাহুল্য, এসব কর্মযজ্ঞ। যে কারণে চরে নারী শ্রমিকদের কদর বেড়েছে। পারিশ্রমিক পেয়ে নারী শ্রমিকরা দৈনন্দিন সংসারের কাজে ব্যবহার করে টাকাণ্ডপয়সা জমাতে পারছেন।
কাজলা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া চরের মরিচ চাষী সাইদুল ইসলাম বলেন, আমি ৬ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। কিন্তু সাধ্য নেই নারী শ্রমিক ছাড়া মরিচ তোলা। নারী শ্রমিকের চাহিদা এতটাই বেড়েছে যে, আমরা নারী শ্রমিক পাচ্ছিনা চরে। এ চরের জমিতে মরিচ তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন সায়েরা, হাজেরা, মরিয়ম ও ইন্তে বেগম। তারা বলেন, দিন হাজিরা ভিত্তিক জমি থেকে মরিচ তুলে আসছি। সকাল ৮টার সময় এসেছি, যাবো বিকাল ৪টায়। মরিচ তোলার কাজ করে দৈনিক পারিশ্রমিক পাবো দু’শ টাকা। এভাবে প্রায় ৩ মাস চলবে মরিচ তোলার কাজে আমাদের ডাক-হাক। এ টাকায় সংসারে ভরন পোষণের পাশাপাশি ভালো টাকা আয় থাকে আমাদের। হাটফুলবাড়ী এলাকার একটি মসলাজাত কোম্পানির চাতালে নারী শ্রমিক কাজ করছেন প্রায় শতাধিক নারী। তারা বলেন, মরিচ নিয়ে আমাদের কাজ চলে সারা বছর। এ কাজে আমরা পাবো দৈনিক দেড়শ টাকা। এতে আমাদের সংসার চলে ভালই। কাজ করে খেতে পারছি এটাই বড় কথা।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো: আবদুল হালিম বলেন, জমিতে কৃষকরা হার ভাংগা পরিশ্রম করে মরিচ উৎপাদন করলেও নারী শ্রমিক ছাড়া মরিচের কোন কাজই সম্ভব হয় না। মরিচের কাজে নারী শ্রমিকদের কোন জুড়ি নেই। যার জন্য এলাকায় মরিচ চাষে নারী শ্রমিকদের কদর বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে অধিক পরিমান নারী শ্রমিক অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।