নীলফামারীর ডিমলায় উপজেলা কৃষকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতাদের স্বজনপ্রীতির কারণে স্থগিত।
পুর্ব ঘোষনা অনুযায়ী ডিমলা উপজেলা অডিটরিয়ামে রোববার দুপুরে উপজেলা কৃষকলীগের সম্মেলন শুরু হয়। সমম্মেলনের ১ম পর্ব শেষে বিকেল ৩.৩০মিনিটে কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা খাওয়ার বিরতির ঘোষনা দিলে। সাধারন সম্পাদক অপর প্রার্থী মনিরুজ্জামানসহ তার প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীদের নিয়ে ডিমলা বাজারের একটি হোটেলে সকলে দুপুরের খাবার খেতে যান। ঠিক সেই সময় পুর্ব করিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দি সাধারন সম্পাদক প্রার্থী মনিরুজ্জামানসহ তার প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীদের অনুপস্থিতির সুযোগে জেলা নেতাদের মনোপুত প্রার্থীদের সভাপতি সাধারন সম্পাদক করার উদ্দেশে তাদের যোগসাজসে কেন্দ্রীয় নেতারা হটাৎ কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদে নাম প্রস্তাবনা করার জন্য ঘোষনা দেন। এবং প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী অনুপস্থিত থাকায় সভাপতি পদে দরিদুল ইসলাম দুলাল ও সাধারন সম্পাদক পদে জেলা নেতাদের মনোপুত আবদুল রাজ্জাকের একক নাম প্রস্তাবনা করা হলে। উপস্থিত সকল কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর পক্ষে কয়েক মিনিট সময় প্রার্থনা করলে তাদেরকে কোন প্রকার সময় না দিয়ে। জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতারা স্বজনপ্রীতি করে প্রস্তাবিত সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নাম ঘোষনা করে কমিটি ঘোষনা দেয়ার চেষ্টা করলে সম্মেলনে উপস্থিত সকলে তার প্রতিবাদ করে। এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায়। এ সময় কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহসভাপতি আবদুল লতিফ তারিন, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু, কৃষিবিদ লুৎফুল বারি, জাহাঙ্গীর আলম ও নীলফামারী জেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক ইয়াহিয়া আবিদ, সদস্য সচিব এ্যাড. আজাহারুল ইসলাম পরিস্থিতি বে-গতিক দেখে কৌশলে দ্রুত সম্মেলন মঞ্চ ত্যাগ করে থানা পুলিশের সহযোগিতায় পালিয়ে গিয়ে ডিমলা থানায় আশ্রয় নেয়। পরবর্তিতে কমিটি ঘোষনা না করেই থানা পুলিশের সহযোগিতায় ডিমলা ত্যাগ করতে বাধ্য হয় তারা। ডিমলা উপজেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক দরিদুল ইসলাম দুলাল বলেন, কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা প্রতিদ্বন্দি সাধারন সম্পাদক প্রার্থীর নাম না নেওয়ায় সম্মেলন কক্ষে হট্রগোল বাধে। তবে মারামারি ও লাঞ্চিতের কোন ঘটনা ঘটেনি। গয়াবাড়ী ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, সম্মেলনের ১ম পর্ব শেষে খাওয়ার বিরতির ঘোষনা দেওয়া হয়। ঠিক সেই সময় প্রতিদ্বন্দি সাধারন সম্পাদক প্রার্থী মনিরুজ্জামান আজাদ এর অনুপস্থিতে খাওয়ার বিরতির সময় শেষ না হতেই কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা সভাপতি সম্পাদক পদে প্রস্তাবনার ঘোষনা দিলে। এ নিয়ে বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। তবে সেখানে মারামারি বা কাউকে লাঞ্চিতের কোন ঘটনা ঘটেনি। ডিমলা থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, রোববার ডিমলা উপজেলা কৃষকলীগের সম্মেলনে হট্রগোলের খবর পেয়ে আমি নিজেই তাৎক্ষনিক সেখানে হাজির হয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে থানায় নিয়ে আসি। এবং পরবর্তিতে তাদের পুলিশি নিরাপত্তায় পরবর্তি গন্তব্যে যেতে সাহায্য করি।