রহনপুর পৌর এলাকার এক নারীর করা মিথ্যা,বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে রহনপুর পৌর পরিষদ। সোমবার দুপুরে পৌর মেয়রের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পৌর পরিষদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য দেন রহনপুর পৌর মেয়র মতিউর রহমান খান। লিখিত বক্তব্যে মেয়র বলেন, ২০২১ সাল হতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবার পর থেকে এ পৌর পরিষদ সুষ্ঠুভাবে কাজ করে চলেছেন। বিগত ১ বছর অতীতের চেয়ে বেশি উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। ইমারত নির্মাণ পৌরসভার নিয়মিত কাজের অংশ। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর ৩৫(১) অনুযায়ী পৌরসভা কর্তৃক ইমারতের জায়গা (সাইট) এবং ইমারতের নকশা অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত কোন ব্যক্তি ইমারত নির্মাণ অথবা পুনঃনির্মাণ করতে পারিবেন না। বাদিনী নাজমা বেগম বারবার নোটিশ দেয়া সত্ত্বেও পৌর কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তিনি নির্মাণ কাজ চালিয়ে যান। ফলে পৌর কর্তৃপক্ষ পৌরসভার বিধি মোতাবেক নির্মাণ সামগ্রী (২৫৬টি ইট,১০টি রড ও ১৫ টি রডের বালা) জব্দ করে পৌরসভায় নিয়ে আসা হয়। তাঁর ইমারত ভেঙ্গে ফেলা বা জখমের কোন ঘটনা ঘটেনি। তদুপরি বাদিনী নাজমা বেগম তাকেসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট,ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা দায়ের করেন। তিনি আরও বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন করতে এসে মামলার শিকার হতে হলো। তিনিসহস ২ জন কাউন্সিলর,তাঁর ছোট ভাই,ভগ্নিপতি, ভাগ্নে,প্রধান শিক্ষক,গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আত্মীয় স্বজনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। এটা মেনে নেয়া যায় না। এর প্রতিকার হওয়া আবশ্যক। তিনি সকল বাধা দূর করে পৌরসভা আইনের বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা চান। সংবাদ সম্মেলন পৌর সচিব খাইরুল হকসহ পরিষদের সকল সদস্য,কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় লিখিত বক্তব্য ছাড়া পৌর পরিষদের সকলেই মেয়রসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য গত ৭ ফেব্রয়ারী রহনপুর পৌর এলাকার নুনগোলা প্রসাদপুর মহল্লার মৃত আনোয়ারুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা বেগমের দায়েরকৃত মামলায় মেয়রসহ ২৬জন আদালতে জামিন চাইতে এসে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন। গত বৃহস্পতিবার মেয়রসহ ২৬ জনকে আদালত জামিন দেয়।