বরগুনার পাথরঘাটার রায়হানপুর ইউনিয়নের জামিরতলা গ্রামে শিশু-কিশোরদের নির্মাণ করা কলাগাছের শহীদ মিনার রাতের আঁধারে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পর রাতের কোনো একসময় কলাগাছের ওই শহীদ মিনার কুপিয়ে খন্ড বিখন্ড করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনা ভোর ৫ টার দিকে দেখতে পেয়ে শিশু-কিশোর ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষব্ধ হন। এমন কাজ শহিদুল ইসলাম করেছে বলে আয়োজকগন জানান। শহিদুল ইসলাম বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের জামিরতলা গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে।
জানতে চাইলে রায়হানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এইমএম ওয়াহিদ মুরাদ ও রায়হানপুরের স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর হোসেন জমাদ্দার বলেন, একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে স্থানীয় শিশু-কিশোরদের নিজ উদ্যোগে ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় কলাগাছের শহীদ মিনার তৈরি করে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। কিন্তু রাতের আঁধারে সেই শহীদ মিনার ভাংচুরের ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দ্রুত এ ঘটনার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে শহিদুল ইসলাম বলেন, ভাষা শহীদদের আমিও শ্রদ্ধা জানাই কিন্তু শহীদ মিনার কেন ভাঙবো ? তবে আমাদের সঙ্গে জমিজমা বিরোধের ঘটনায় আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হবে।