কুড়িগ্রাম জেলার বিচ্ছিন্ন জনপদ চর রাজিবপুর উপজেলা। শিক্ষায় কিছুটা এগিয়ে থাকলেও স্বাস্থ্য সেবা চিকিৎসকের অভাবে ব্যহত হচ্ছে। সরকার চিকিৎসা সেবা বাড়ানোর জন্য হাসপাতালের শয্যা বাড়ালেও চিকিৎসক সংকটের কারণে দিন দিন জনপদের স্বাস্থ্য সেবা ব্যহত হচ্ছে। ফলে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে রাজিবপুর বাসীর স্বাস্থ্য সেবা। দেখার যেন কেউ নেই।
৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে মাত্র ২ জন চিকিৎসক দিয়ে জোড়া তালি দিয়ে সেবা দেওয়া হচ্ছে। তাও আবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পপ কর্মকর্তাকে মাঝে মধ্যে মিটিং ও অফিস কাজে বাহিরে থাকতে হয়। তখন এলাকাবাসীকে মহা সংকটে পড়তে হয়।
৫০ শয্যা হাসপাতাল ছাড়াও ১৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এর মধ্যে ২টি কমিউনিটি ক্লিনিকে অবকাঠানো নেই। কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে সাধারন চিকিৎসা সেবা পেলেও মুমূর্ষ রোগী গুলো ছুটে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দিকে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হাজির হয়ে দেখেন ডাক্তার নেই।ফলে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষধিক মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে এসে চিকিৎসক সংকটের কবলে পড়ছেন প্রতিনিয়ত।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সেবা দানকারী চিকিৎসক সংকট,প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংকট ও হাসপাতালের নানবিধ সমস্যার কথ্।া কর্তব্যরত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পপ কর্মকর্তা ডাক্তার সারওয়ার জাহান জানান, ২৪ জন ডাক্তারের মধ্যে তিনি সহ ২ জন রয়েছেন। ডাক্তারের চাহিদা পাঠিয়েছি। আগামী কিছু দিনের মধ্যে ডাক্তার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জুনিয়র কলসালটেন্ট ১০ জন,আরএমও ১জন,সহকারী সার্জন ও সমমান ১১জন ও ডেন্টাল সার্জন সহ ২২ জনের পদসহ অন্যান্য কর্মচারী শূন্য রয়েছে। হাসপাতালটিতে নেই কোন পরিচ্ছন্ন কর্মী ও ওয়ার্ড বয়। প্রতি নিয়ত কামলা নিয়ে পরিষ্কার করতে হয়। ফলে অধিকাংশ সময়ই থাকে প্রতিষ্ঠানটি নোংরা। ভোগান্তিতে পড়েন সেবা নিতে আসা রোগীরা।
একমাত্র এক্স-রে মেশিন টিও দীর্ঘ দিন যাবত অকেজো হয়ে পড়ে আছে। হাসপাতালটিতে নেই কনো আল্ট্রা স্নো গ্রাম মেশিন। প্রস্যুতি মা তথা অন্যান্য রোগীকে বাহির থেকে আল্ট্রার কাজ করতে হয়। এতে বাড়তি টাকা ব্যয় করতে হয় রোগীদের।
হাসপাতালে কর্মরত সেকমো কুদ্দুস জানান,মেডিকেল অফিসার যখন থাকে না,এলাকাবাসী মনে করেন আমরাই রাজিবপুর হাসপাতালের বড় ডাক্তার । অনেক সময় ১ জন মেডিকেল অফিসার ও আমরা ২ জন সেকমো মিলে আউট ডোর ও ইর্মাজেন্সীতে প্রতিদিন ৩ শত থেকে সাড়ে ৩শত রোগী দেখে থাকি।
অনেক সময় নামাজে ও একটু বিশ্রাম নিতে গেলে দেখি রোগীদের চিল্লাচিল্লি। অক্লান্ত পরিশ্রম করেও সোকোজ খেতে হয়। আমরা যাবো কোথায়?
ডাক্তার সংকট নিয়ে কথা হয় চর রাজিবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরোর সাথে ,তিনি জানান প্রতি মাসিক সভায় ডাক্তার সংকটের কথা জেলা প্রশাসক ও সির্ভিল সার্জনকে অবগত করা হয়। তবুও চিকিৎসক সংকট সমস্যা কমছে না।