অল্প পুজিতে পতিত জমিতে বিভিন্ন জাতের কুল চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ায় বরিশালের বিভিন্ন উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কুল চাষ। কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে চাষীরা অনাবাদি জমিতে বিভিন্ন জাতের কুল চাষ করায় প্রতিটি বাগানের গাছ কুলে পরিপূর্ন হয়ে উঠেছে।
জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও হজ¦ এজেন্সির মালিক ইউসুফ হাওলাদার জনকণ্ঠকে বলেন, মহামারী করোনায় এজেন্সির ব্যবসায় ধ্বস নেমেছে। এরপর গ্রামে এসে তিনি কৃষি কাজ শুরু করেন। গত আট মাস পূর্বে দুই একর অনাবাদি জমিতে ৮২০টি বল সুন্দরী জাতের কুল চারা রোপন করেছেন। বর্তমানে তার বাগানের প্রতিটি গাছ কুলে পরিপূর্ন। এরইমধ্যে গাছের অর্ধেক কুল প্রতি কেজি ৫০ টাকা পাইকারী মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে।
উপজেলার মাহিলাড়া গ্রামের কৃষক ফারুক ফকির বলেন, পূর্ব মাহিলাড়া এলাকায় বিলের মধ্যে ৫০ শতক অনাবাদি জমি লিজ নিয়ে এক লাখ টাকা ব্যয় করে গত বছর থেকে তিনি কুল চাষ শুরু করেছেন। এবছর তার বিভিন্ন প্রজাতের সাড়ে চারশ’ গাছে ফলন ধরেছে। বাগান থেকে প্রায় একশ’ মন কুল ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। বাগানে এখনো প্রচুর পরিমাণ কুল রয়েছে। সব মিলিয়ে কুল চাষ করে তিনি এখন স্বাবলম্বী। একই গ্রামের কৃষক নাজমুল সরদারের বিভিন্ন প্রজাতির পাঁচ শতাধিক কুল গাছে গত বছরের চেয়ে এবছর ব্যাপক পরিমান ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষি অফিস থেকে সঠিক পরামর্শ নিয়ে কুল চাষ করায় এসব কৃষকরা এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন।
গৌরনদী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মামুনুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার পর কৃষি মন্ত্রণালয় পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গৌরনদীর অনাবাদী জমিগুলো চাষের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। মাঠপর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের চাষাবাদে উদ্বুদ্ধকরণ ও পরামর্শ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। ফলে কৃষক পতিত জমিতে কুল, লেবু ও মাল্টাসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।