চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলওয়ে স্টেশনেকে পূর্ণাঙ্গ রেলবন্দরের দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছে তিন উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ। বৃহস্পতিবার সকালে রহনপুর পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে রেলবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদ ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। গোমস্তাপুর,নাচোল ও ভোলাহাট উপজেলার জনগণ বেলা ১১টা থেকে ১২ পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে অংশ নেয়। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সংগঠন নিজ নিজ এলাকায় মানববন্ধন করেছেন।
রেলবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক নাজমুল হুদা খান রুবেলের সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপি চলা মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান, অপর সাবেক সংসদ সদস্য ও গোমস্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন রেজা, রহনপুর পৌরসভাার মেয়র মতিউর রহমান মতি খাঁন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ বাইরুল ইসলাম, ও খুরশিদ আলম বাচ্চু, রহনপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র তারেক আহমেদ, নাচোল উপজেলা রেলবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদের পক্ষে আমানুল্লাহ আল মাসুদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম সোনারদী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী সাবিহা শবনম কেয়া, যুবলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম টাইগার, সাংবাদিক আসাদুল্লাহ আহমদ ও ইয়াহিয়া খান রুবেলসহ অন্যরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে রহনপুরে রেলওয়ে শুল্ক স্টেশন চালু করা হয়। এই বন্দর দিয়েই ভারত, নেপাল ও ভুটানে পণ্য আমদানি রপ্তানি রুট চালু রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে রহনপুর রেল বন্দরকে ৩০ কিলোমিটার দূরে আমনূরা এলাকায় স্থানান্তরের প্রতিবাদ জানানো হয়। তাঁরা আরোও জানান, রহনপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে চারটি স্টেশন পার হয়ে আমনুরায় রেলবন্দর স্থাপন করলে ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি বাড়বে। পাশাপাশি রহনপুরের অর্থনীতিও মুখথুবড়ে পড়বে। রহনপুরকে পূর্ণাঙ্গ রেল বন্দর না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারি দেন বক্তারা।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভকারীরা একটি মিছিল নিয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থান নেয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর রহনপুর রেলওয়ে শুষ্ক স্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ ট্রানজিট পয়েন্ট (রেলবন্দর) রূপান্তরের আবেদন জানিয়ে স্মারকলিপি দেন রেলবন্দর বাস্তবায়নের নেতারা।