বরিশালের বাবুগঞ্জে শিউলি আক্তার নামে সপ্তম শ্রেণি পড়-য়া এক মাদ্রাসার ছাত্রী বখাটের উৎপাত সহ্য করতে না পেরে নিজের গায়ে কেরসিন দিয়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ ঘটনার ১মাস ৫ দিন পর ২৪ ফেব্রুয়ারী নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। ঘটনাটি ঘটেছে বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের জাহাপুর গ্রামে। মৃত শিউলি আক্তার জাহাপুর গ্রামের শওকত আলী বেপারীর কন্যা। ঘটনার বিবরণে জানাগেছে, উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের জাহাপুর গ্রামের শওকত আলী বেপারীর কন্যা জাহাপুর দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণি পড়-ৃয়া শিউলি আক্তারের বাবা-মায়ের মধ্যে ২০২০ সালের দিকে পারিবারিক বিরোধের কারণে তালাক হয়। এরপর থেকে শিউলি আক্তার তার মায়ের কাছে থেকে পড়াশুনা করতেন। সে সুবাদে শিউলি আক্তারকে একই ইউনিয়নের ঠাকুর মল্লিক গ্রামের মৃত মোবারেক ফকিরের পুত্র রাকিব ফকির (৩০) প্রায়ই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ও বাজে কথা বলে উত্ত্যক্ত করতেন। এ বিষয়ে শিউলি আক্তারের মা রহিমা বেগম একাধিক বার রাকিব ফকিরকে নিষেধ করা সত্ত্বেও কর্নপাত করেননি। গেল ২১ জানুয়ারী একই ভাবে শিউলি আক্তারকে উত্ত্যক্ত করলে শিউলি আক্তারের মা রহিমা বেগম রাকিবের বাড়িতে গিয়ে উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করতে যান। এ সময় ঘরে শিউলি আক্তার একা ছিলেন এবং বিকালের দিকে নিজের গায়ে কেরসিন ঢেলে আগুন জ¦ালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বাড়ির লোকজন টের পেয়ে শিউলিকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে শিউলির অবস্থা অবনতি দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎস্যাধীন অবস্থায় শিউলির অবস্থার কোন পরিবর্তন না হলে বাড়িতে নিয়ে আসেন। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরে ২৪ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার শিউলি আক্তার মৃত্যু বরণ করেন। এ ব্যাপারী আগরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. মুহিদ বলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।