পঞ্চম ধাপে ইউপি নির্বাচনে বগুড়ার সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানা সহ উপজেলা নির্বাচন অফিসার, নয় প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রতিদ্বন্দী চার চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে বগুড়া আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাহার হোসেন পিন্টু ও অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী) রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে মোট ১৬ জনকে বিবাদী করে গত বুধবার বগুড়া জেলার প্রথম সিনিয়র সহকারি জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে পৃথক পৃথক দুটি এই মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরনে সুত্রে জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারী আদমদীঘি উপজেলায় পঞ্চম ধাপে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে সান্তাহার ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট পাঁচজন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত দলীয় প্রার্থী নাহিদ সুলতানা নৌকা প্রতীকে জয়লাভ করেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ছিলেন বাদী স্বতন্ত্র প্রার্থী মটরসাইকেল প্রতীকের মোজাহার হোসেন পিন্টু ও (আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী) স্বতন্ত্র¿ প্রার্থী আনারস প্রতীকের রবিউল ইসলাম। এ বিষয়ে নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাহার হোসেন পিন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভোটে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাহিদ সুলতানা ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে ভোট কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়া, ইভিএম জালিয়াতিসহ ভোট গননায় কারচুপি করে বিজয়ী হন। স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী) রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রশাসন, ক্যাডার বাহিনী এবং নাহিদ সুলতানা নিজে পেশাশক্তি খাটিয়ে আনারস প্রতীকের বিজয় ছিনিয়ে নিজের নামে নিয়েছে। তাইতো তিনি সান্তাহার ইউনিয়নের সকল ভোট কেন্দ্রে ব্যবহৃত ইভিএমের মেমোরী কার্ড, হার্ডকপি প্রদান, ফলাফল বাতিল’সহ ও পুনরায় ভোট গননার দাবি জানায়।