রাজবাড়ী জেলা শহরের জনগুরত্বপূর্ণ ৫টি স্থানের শব্দদূষণের মাত্রা জানতে সাউন্ড লেভেল মিটার স্থাপন করা হয়েছে।
রোববার বেলা ১১টার দিকে ইকিউএমএস কনসালটিং লিমিটেড এবং বায়ুমন্ডলী দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্মিত ও অংশিদারিত্বমুলক প্রকল্পের আওতায় মতবিনিময় সভায় পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থানে পোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর স্টামফোর্ড ইউনিভারসিটির প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল নাঈম এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, শব্দদূষনের মাত্রা জানতে জরিপ চালাতে রাজবাড়ী জেলা শহরের নিবর এলাকা হিসাবে সদর হাসপাতালের সামনে, আবাসিক হিসাবে সার্কিট হাউজ এলাকা, বাণিজ্যিক হিসাবে শহরের প্রধান ও গোল চত্তর গুলো, মিশ্র হিসাবে পৌর বা প্রশাসক কার্যালয় এলাকা এবং বিসিক এরিয়াকে শিল্প এলাকা হিসাবে সনাক্ত করেছেন। এসব এলাকার ৫টি স্থানে ২৪ ঘন্টা (দিবা ও রাত্রিকালীন)দর জন্য সাউন্ড লেভেল মিটার বসিয়েছেন। বিধিমালা অনুযায়ী সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দিবা এবং রাত ৯টা থেকে পরবর্তীদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত রাত্রিকালীন সময়। এ মেশিনটি প্রতি এক মিনিট পরপর তথ্য দেবে। যার মাধ্যমে শব্দদূষণের মাত্রা জানাযাবে।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মাহাবুর রহমান শেখ।
সভায় রাজবাড়ী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রবিউল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তর ফরিদপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মিতা রানী দাস, রাজবাড়ী পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে উপ-পরিচালক গোলাম মোঃ ফারুক, শিক্ষক প্রদ্দুত কুমার দাস, চায়না সাহা, জেলা পরিবহন শ্রমকি ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম পিন্টু, রিক্সা ভ্যান শ্রমকি নেতা আবদুল ওহাব সরদারসহ রেডক্রিসেন্ট, শিক্ষার্থী ও সুধিজন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রচার মাইক, যানবাহনের হর্ণ, অনুষ্ঠানের সাউন্ড সিস্টেম, কল কারখানার মেশিনের সঠিক ব্যবহার ও সময় নির্ধারনের বিষয় তুলে ধরা হয়। এবং প্রশাসনের কঠোর ভূমিকার মাধ্যমে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে সভায় তুলে ধরেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন, আসলে সবাই সচেতন হলে শব্দদুষণ নিয়ন্ত্রণ নয়, অনেক ভাল কাজ করা সম্ভব। এখন যেমন যানবাহনের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি বেড়েছে অদক্ষ্য ও অশিক্ষিত চালক। যারা হর্ণের ব্যবহার কোথায় করতে কবে জানেন না। ফলে প্রতিনিয়তই শব্দদূষণের মাত্রা বাড়ছে। এ ছাড়া বর্তমানে সভা সেমিনারসহ অন্যান্য প্রচারনা কাছে ব্যবহৃত প্রচার মাইকে শব্দদূষণ হচ্ছে। যারা রাত দিন সব সময় উচ্চৈঃস্বরে মাইকিং করে প্রচারনা করছে। তাছাড়া বর্তমানে বিয়েসহ অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হচ্ছে সাউন্ড সিস্টেম। যা শব্দদূষণের অন্যতম কারণ। এবং বিভিন্ন কল কারখানার মেশিনেও শব্দদুষণ হচ্ছে। আর এসব শব্দদূষণের প্রভাবে বিপর্যস্ত জনজীবন। তাই প্রশাসন কঠোর হবার পাশাপাশি সকলস্তরের মানুষের সচেতনতা জরুরী।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মাহাবুর রহমান শেখ বলেন, যারা যানবাহনের চালক তারা এবং যারা যানবাহনের যাত্রী তারা সচেতন হলে অনেকটা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। যেমন হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ এরিয়ায় হর্ণ বাজানো ঠিক না। সবাই মিলে চেষ্টা করলে সফলতা হবেই। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শব্দদুষণ নিয়ন্ত্রণে স্কুল, হাসপাতালসহ কয়েকটি স্থান চিহিৃত করে সাইনবোর্ড দিয়ে সচেতন ও অভিযান শুরু করবেন। শব্দদূষণে দায়ীদের শ্বাস্তির আওতায় আনতে হবে। আর একজন শ্বাস্তি পেলে অন্যরা সচেতন হবে। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।