স্বজাতির কাউকে হারিয়ে বন্যহাতির অব্যাহত
তা-বে সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরের নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী
উপজেলার গারো পাহাড়ের কমপক্ষে ৩৮টি গ্রামে হাতি আতঙ্ক বিরাজ করছে। চার
মাসে চারটি হাতির মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষেপে উঠেছে হাতির পাল। প্রায় প্রতিদিনই
হামলা করছে লোকালয়ে। হাতির আক্রমণে জানমাল বাঁচাতে প্রায় ৮ হাজার পাহাড়ি
এলাকার মানুষ আতঙ্কে র্নিঘুম রাত কাটাচ্ছেন। গেল সপ্তাহে সীমান্ত এলাকার
একটি কৃষি প্রকল্পসহ ছয়টি বাড়িতে হামলা চালায় বন্য হাতিরা।
এসব অঞ্চলের কোন না স্থানে প্রায় প্রতি রাতেই বন্যহাতি তান্ডব চালায়।
দীর্ঘদিনের হাতিযুদ্ধে মানুষ মারা যাচ্ছে ও পঙ্গু হচ্ছে। বিগত ২০১০ সাল
থেকে এ পর্যন্ত বন্যহাতির আক্রমনে মানুষ মারা গেছে ৩০ জন ও হাতি মারা
গেছে ২৭টি। তাই জীববৈচিত্র রক্ষা ও জানমাল বাঁচাতে অতিদ্রুত প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা না নিলে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে স্থানীয়রা জানান। গারো
পাহাড়ে পর্যাপ্ত খাবার না পেয়ে হাতিরা নেমে আসে ফসলি জমিতে। বাধা দিতে
গিয়ে প্রাণও যায় কারও কারও। স্থানীয়দের দাবি, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার
হাতির উপদ্রব বেশি। প্রশাসনের কাছে স্থায়ী সমাধান চাইছে তারা।
২০১৭ সালে হাতি তাড়াতে কোটি টাকা ব্যয়ে সোলার ফেন্সিং প্রকল্প শুরু হলেও
এখন বন্ধ সেসব। তালাবদ্ধ প্রকল্প কক্ষে নেই কোনো যন্ত্রপাতি। দুই একটি
খুঁটিতে ঝুলছে জিআই ক্যাবল, বাইরেও নেই মালামালের অস্তিত্ব। তবে হাতি
ঠেকাতে অভয়ারণ্য তৈরির প্রস্তাব দিচ্ছেন ট্রাইবাল অ্যাসোসিয়েশনের
চেয়ারম্যান নবেশ ক্ষকসি। তার সাথে একমত ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদও।