বাগেরহাটের শরণখোলায় জনতার সহায়তায় পুলিশ তিন নারী পকেটমারকে আটক করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৬১ হাজার ৫০০ টাকা ও দুইটি স্বর্ণের আংটি উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতদের সোমবার বাগেরহাট আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। রোববার উপজেলা সদরের পাঁচরাস্তা এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন মাদারীপুর জেলার চতুরপাড়া গ্রামের কামাল চৌধুরির মেয়ে মৌসুমী বেগম (২৪), টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের খুনকার ব্যাপারির মেয়ে পারভীন বেগম (২০) ও শারমিন বেগম (২২) এরা বাগেরহাটের খানজাহান আলীর মাজার সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, উপজেলার পশ্চিম খাদা গ্রামের নাছিমা বেগম রায়েন্দা বাজারের স্বর্ণকারের দোকান থেকে দুটি স্বর্ণের আংটি মেরামত করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে পাঁচরাস্তা মোড়ে নাদিয়া ফার্মেসীতে ওষুধ কিনতে ঢুকলে পারভীন বেগম কৌশলে তার ভেনেটি ব্যাগ থেকে দুটি স্বর্ণের আংটি এবং ২১০০ টাকা বের করে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় পাশের লোকজন দেখে ধাওয়া করে তাকে ও তার দুই সহযোগীকে ধরে ফেলেন।
শরণখোলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, এই ছিনতাই চক্রে ১০-১২জন সদস্য রয়েছেন। এরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে উপজেলা সদরের রায়েন্দা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় পকেটমার কাজে লিপ্ত হয়। এদের দলে পুরুষ সদস্যও রয়েছেন। এরা সবাই বেদে সম্প্রদায়ের। তারা বর্তমানে বাগেরহাটের খানহাজান আলী (রহ.) মাজার এলাকায় বসবাস করছেন। বেদে পেশা মন্দা হওয়ায় পকেটমারের পথ বেছে নিয়েছেন।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইয়েদুর রহমান জানায় গ্রেফতারকৃত নারী পকেটমারদেও কাছ থেকে নগদ ৬১ হাজার ৫০০ টাকা ও দুইটি স্বর্ণের আংটি উদ্ধার করা হয়েছে। এরা সংঘবব্ধ একটি নারী পকেটমার চক্র। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আটককৃতদের সোমবার বাগেরহাট আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।