বাল্য বিয়ে, ইভটিজিং, মাদক, জুয়াসহ নানা অপকর্ম বন্ধ করতে গিয়ে আমি বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। শিক্ষার প্রসার ঘটাতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। প্রতিটি ভালো কাজ করতে গিয়ে আমি পথে পথে বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। এভাবে চলতে পারেনা। আমাদের সকলের সচেতন হতে হবে। সকলের সম্মিলিত ভাবে সমাজের অনিয়ম দূর করতে হবে।
এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হাওলাদার মানিক।
সস্প্রতি তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন ব্যক্তির নানা মন্তব্য নিয়ে এলাকাবাসীর আয়োজনে প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার বান্ধাবাড়ি জেবিপি উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বান্ধাবাড়ি জেবিপি উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাওলাদার মোঃ আবুল বসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বান্ধাবাড়ি জেবিপি উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহমুদ হোসেন, শিক্ষক জুলফিকার আলী শেখ, ইউপি সদস্য সেলিম মোল্লা, অভিভাবক জাকির হোসেন বক্তব্য রাখেন।
শিক্ষক জুলফিকার আলী বলেন, বান্ধাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হাওলাদার মানিক বিদ্যালয়ে এসে আমাদের অনুমতি নিয়ে দশম শ্রেণিতে যায়। সেখানে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে লেখাপড়ায় মনোযোগী ও স্কুল ড্রেস পড়ে স্কুলে আসতে বলেন। এখানে তিনি হিজাব বা বোরকার কথা উল্লেখ করেনি।
বান্ধাবাড়ি জেবিপি উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাওলাদার মোঃ আবুল বসার বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হাওলাদার মানিক এর আগেও এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি এলাকার শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। তিনি ছাত্রীদের বিদ্যালয়ের বোরকা বা হিজাব পড়ে আসতে নিষেধ করেননি। একটি মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।
বান্ধাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হাওলাদার মানিক বলেন, জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে কবে। আর এই শিক্ষার প্রসার ঘটাতে গিয়ে আমি আমার ইউনিয়নের শিক্ষার্থীদেরকে নিজের সন্তানের মতো মনে করে মাঝে মধ্যে শাসন করি। এতে যদি কেহ মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমি তাদের কাছে ক্ষমা চাই।