লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বিবাহিত ও অছাত্রদের দিয়ে কমলনগর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পরদিনই একই কমিটিতে থাকা ছাত্রলীগের দুই নেতা পদত্যাগ করেন। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সচিব বর্তমান কমিটিতে স্থান পাওয়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদ বিন হাবিব ও সহ-সভাপতি পদে স্থান পেয়েও হারুনুর রশীদ চৌধুরী (আজ) মঙ্গলবার দলীয় প্যাড ব্যবহার করে পৃথকভাবে অব্যাহতি পত্র লিখে দলীয় পদ বর্জন করেন। সাথে সাথে যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করেন তারা। এতে কমেন্টসে দলীয় নেতা-কর্মীদের বিদ্রুপ মন্তব্য দেখা যায়।
এর আগে সোমবার(২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো.শাহাদাত হোসেন শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউল করিম নিশান স্বাক্ষরিত কমলনগর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে সভাপতি মো. রাকিব হোসেন সোহেল, সহ সভাপতি হারুনুর রশিদ চৌধুরী, মোঃ আমজাদ হোসেন, মো. শরীফুল ইসলাম বাহার, সাধারণ সম্পাদক মো.আজাদ উদ্দিন, যুগ্ম-সম্পাদক আসাদ বীন হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আহসান আহম্মেদ রোমেল ও আবু সাঈদকে বর্তমান কমিটিতে রাখা হয়।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, বিবাহিত ও অছাত্রদের দিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা দেয়ার কারণে নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়া মো.আজাদ উদ্দিনের ছাত্রত্ব নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠে। এছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ বিবাহিত। তবে তার বয়স নিয়েও বিব্রত স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
এদিকে পদত্যাগকারী হারুন ও আসাদ অভিযোগ করে জানান, বিবাহিত-অছাত্রদের দিয়ে কমিটি করে ত্যাগিদের অবমূল্যায়ন করায় তারা পদত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন দল টেনে চরমভাবে অবমূল্যায়নের স্বীকার হন তারা।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো.শাহাদাত হোসেন শরীফ বলেন, দলীয় সংবিধান না মেনে যদি কেউ পদত্যাগ করেন তাতে সমস্যা নেই। অছাত্র-বিবাহিতের বিষয়ে তিনি বলেন, সম্মেলনের সময় দেওয়া জীবন বৃত্তান্ত দেখে কমিটি দেওয়া হয়েছে, এতে যদি কেউ অছাত্র বা বিবাহিত হয় এমন প্রমাণ মিললে তাকে অবশ্যই অব্যাহতি দেওয়া হবে।