জামালপুরের বকশীগঞ্জে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করায় সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। এই ঘটনায় পৌর সভার লাইসেন্স পরিদর্শক মিজানুর রহমানকে শোকজ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর তাকে শোকজ করেন। সেই সাথে আগামী তিনদিনের মধ্যে লিখিত ভাবে জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে।
জানা যায়, ১ মার্চ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বকশীগঞ্জ পৌর সভার উদ্যোগে ৯ টি ওয়ার্ডে পৃথক পৃথক ভাবে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাত নয়টায় বকশীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে ৭ নং ওয়ার্ডের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পৌর মেয়রের অনুপস্থিতিতে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশ করা হয়। মুহুর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল নৃত্যের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে এমন অশ্লীল নৃত্য নিয়ে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে। এমন নৃত্য পরিবেশন করায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হয়েছে মর্মে পরিদর্শক মিজানুর রহমানকে রাতেই শোকজ করা হয়।
বকশীগঞ্জ পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান,আমাকে না জানিয়েই জনৈক ওই নারী মঞ্চে উঠে অশ্লীল ও আপত্তিকর নৃত্য পরিবেশন করেছে। পরে আমার নজরে আসায় নৃত্য পরিবেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার পরেও আমি শোকজের জবাব দিতে বাধ্য।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর বলেন,আমার অনুপস্থিতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। আমি মনে করি এতে সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই তাৎক্ষনিক পরিদর্শককে শোকজ করা হয়েছে। সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনুষ্ঠানটি যেহেতু পৌরসভার তাই এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।