বাগেরহাটের কচুয়ায় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষন মামলায় আরও দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ মার্চ) বিকেলে চট্রগাম মহানগরীর পতেঙ্গা উপজেলা থেকে এই মামলার প্রধান আসামি এই মো: সজীব মোল্লাকে র্যাব-৬ খুলনার একটি দল গ্রেপ্তার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বুধবার (০২ মার্চ) বিকেলে গ্রেফতার মোঃ সজীব মোল্লাকে কচুয়া থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। এ ছাড়া মঙ্গলবার রাতে ঢাকার কামরাঙ্গির চর এলাকা থেকে শকিজুল ওরফে টিপু (২৩) নামের আরেক আসামীকে গ্রেফতার করেছে কচুয়া থানা পুলিশ। এর আগে ঘটনার দুই দিন শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে এজাজুল মোল্লা নামের এক আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই নিয়ে স্কুল শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় এজাহার নামীয় চার আসামীর মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
গ্রেফতার মো: সজীব মোল্লা (২৫) কচুয়া উপজেলার কলমিবুনিয়া এলাকার বারেক মোল্লার ছেলে এবং শকিজুল ওরফে টিপু (২৩) একই গ্রামের ইউসুফ শেখের ছেলে। গ্রেফতার দুইজনকে আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন কুচয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশ সচেষ্ট ছিল। আসামিরা পলাতক ছিল। পুলিশ গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকার কামরাঙ্গিচর এলাকা থেকে শকিজুল ওরফে টিপুকে গ্রেফতার করেছে। এ ছাড়া চট্রগাম মহানগরীর পতেঙ্গা এলাকা থেকে র্যাব মো: সজীব মোল্লা নামের আরেক আসামীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হবে। এ ছাড়া এজাহার নামীয় অন্য আসামীকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে কচুয়া উপজেলার কলমিবুনিয়া গ্রামে ওই শিক্ষার্থীর ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে স্থানীয় চার বখাটে ৮ম শ্রেনিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই শিক্ষার্থীকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবার। পরের দিন শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে অভিযুক্ত এজাজুল মোল্লাকে আটক করে পুলিশ। ওই দিন বিকেলে নির্যাতিতা শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে কচুয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। এদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।