রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অপারেশন কন্ট্রোল এ- মনিটরিং সেন্টারের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর ওই মাদ্রাসা ছাত্র তামিমকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট।
জানা গেছে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার তামিম নামের ১০ বছর বয়সের এক মাদ্রাসা ছাত্র বাঘার একটি মাদ্রাসা হতে বের হয়ে যায়। এরপর সে মাদ্রাসায় না ফিরলে পরিবারবারসহ সকলেই তামিমের সন্ধানে বের হয়। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও তাকে খুজেঁ পাওয়া যাচ্ছিলো না।
পরবর্তীতে একজন অটোচালক ওই ছাত্রের পরিবারকে বলেন, তামিমকে রাজশাহীগামী কোন এক ট্রেনে উঠতে দেখেছে। পরে রাজশাহীতেও তাকে খুঁজে না পাওয়ায় তার সন্ধান পেতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে বিষয়টি ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ও তামিমের বাবা আরএমপির অপারেশন কন্ট্রোল এ- মনিটরিং সেন্টারের সহায়তা চান। এরপর আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহকারি পুলিশ কমিশনার (এসি) উৎপল কুমার চৌধুরীর সার্বিক দিক নির্দেশনায় অপারেশন কন্ট্রোল এ- মনিটরিং সেন্টারের সদস্যরা নগরীতে স্থাপন করা শহরের সকল ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা শুরু করে। এর মাত্র পাঁচঘন্টার ব্যবধানে নিখোঁজ তামিমের অবস্থান সনাক্ত করতে সক্ষম হয় ওই ইউনিটের সদস্যরা। পরবর্তীতে রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার পাঠানপাড়া মাদ্রাসা হতে তামিমকে উদ্ধার করে তার পিতার নিকট হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, এর পূর্বেও গত জানুয়ারিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ১২ বছরের একটি ছেলে ঢাকার এক মাদ্রাসা হতে নিখোঁজ হয়। সেই ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে তৈরি করা হয়েছিলো একটি অপহরণ নাটক। অবশেষে সেই ছেলের অভিভাবক সাইবার ইউনিটের সহযোগিতা চাইলে সেই রাতেই তাকে চন্দ্রিমা থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। এদিকে সন্তানকে ফিরে পেয়ে তামিমের বাবা রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক ও সাইবার ক্রাইম ইউনিটসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এর আগে মো. আবু কালাম সিদ্দিক রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশ কমিশনার হিসেবে যোগদানের পরপরই বলেছিলেন, এই মহানগরীকে নিরপাত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। এতে এই মহানগরীতে কোন অপরাধী শক্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। আর সেই লক্ষেই গ্রহণকৃত বিভিন্ন কর্মসূচি অংশ হিসেবে তিনি সাইবার ক্রাইম ইউনিট, অপারেশন কন্ট্রোল এ- মনিটরিং সেন্টারসহ কিশোর গ্যাং ডিজিটাল ডাটাবেজ ও হ্যালো আরএমপি অ্যাপ চালু করেন। এরপর থেকেই মূলত আরএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিট ও অপারেশন কন্ট্রোল এ- মনিটরিং সেন্টার সাফল্য দেখিয়ে আসছে।