বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসে মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় পার্কে একটি চশমাপরা হনুমান ও একটি বানরের মৃত্যু হয়েছে।
চশমাপরা হনুমানটি মারা গেছে বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। বানরটি মারা যায় গাড়িচাপায়। এ দু'টি প্রাণীই মারা যায় বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্যপ্রাণী দিবসে।
শ্রীমঙ্গলে অবস্হিত বন্যপ্রাণী ব্যবস্হাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন কার্যালয়ের ওয়াল্ডলাইফ রেঞ্জার শহিদুল ইসলাম জানান, লাউয়াছড়া জাতীয় পার্কের শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কের গাড়িভাঙ্গা এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় গাড়িচাপায় বানরটি মারা যায়।
তিনি আরো জানান, একই দিনে লাউয়াছড়ায় বৈদ্যুতিক লাইনের বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একটি চশমাপরা হনুমান মারা যায়। মারা যাওয়ার সময় হনুমানের সাথে মাত্র ৩/৪ দিনের একটি বাচ্চা ছিল।
শ্রীমঙ্গল বন্যপ্রাণী বিভাগের ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, দুটি প্রাণীই ঘটনাস্থলে মারা যায়। আমরা হনুমানের বাচ্চাটি উদ্ধার করে লাউয়াছড়া রেসকিউ সেন্টারে এনে রেখেছি। এখন বাচ্চাটির দেখভাল ও পরিচর্যা করছি আমরা।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্হাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র বলেন, গতকাল বন্যপ্রাণী দিবসের অন্ষ্ঠুান শেষে ফেরার পথে গাড়িভাঙ্গা নামক স্হানে দুর্ঘটনার শিকার বানরটিকে আমরা দেখতে পাই। বানরটির লেজ শরির থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। বানরটিও তখন বেঁচে ছিল। বানরটিকে আমরা দ্রুত প্রাণীসম্পদ হাসপাতালে নেয়ার পথে বানরটি মারা যায়।
তিনি আরো বলেন, আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। কিন্তু বাঁচাতে পারিনি। চিকিৎসা দেওয়ার সময়ও আমরা পাইনি।
প্রসঙ্গত: গতকাল বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসে লাউয়াছড়া জাতীয় পার্কের ভেতর শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার গতিতে যানবাহন চালানোর জন্য চালকদের মধ্য সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন হয়েছিল। এ সময় যানবাহনে সর্বোচ্চ গতিসীমা ২০ কিলোমিটার লেখা স্টিকার লাগানো হয় এবং সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরন করা হয়।