ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপার নেতৃত্বে শনিবার দিনভর পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে প্রতিটি ৩ লাখ টাকা মূল্যমানের তিনটি কুনো জাল ও একটি বেড় জাল সহ প্রায় ১১ লাখ টাকা মূল্যমানের মোট চারটি বিশাল আকৃতির জাল জব্দ কারার পর তা মাথাভাঙ্গা গ্রামের পদ্মার চরে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। অভিযানে ৪০ কেজি জাটকা ইলিশ আটক করে পার্শ্ববতী এমকে ডাঙ্গী মাদ্রাসা এতিমখানায় বিতরন করা হয় এবং নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারকারী চার জেলের কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযানের অন্যরা হলেন-চরভদ্রাসন থানা অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ জিয়ারুল ইসলাম, উপজেলা মৎস্য অফিসার এসএম মাহমুদুল হাসান, এসআই প্রবীর, মোবাইল কোর্ট পেশকার মোঃ সাদ্দাম হোসেন, অফিস সহায়ক মোঃ বাবুল বিশ্বাস ও আনসার ব্যাটলিয়ন সদস্যবৃন্দ।
জানা যায়, ওই দিন উপজেলা পদ্মা নদীর ভাটি শালেপুর জলমহল, চর তাহেরপুর, দিয়ারা গোপালপুর ও আকোটেরচর সহ বিভিন্ন জলমহলে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। অসাধু জেলেরা এসব জলমহলের ক’য়েক কি.মি এলাকা জুড়ে একটি করে কুনো জাল ফেলার পর তা আবার দু’টি ট্রলারযোগে ১৫/২০জন জেলে মিলে টেনে টেনে উঠিয়ে জাটকা ইলিশ নীধনযজ্ঞ চালাচ্ছিল। ভ্রাম্যমান আদালত দিনভর অভিযান চালিয়ে পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যবহৃত প্রায় ১১ লাখ টাকা মূল্যমানের মোট চারটি জাল জব্দর পর ধ্বংস করেন। একই সাথে চার জেলেকে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য্য করেন ভ্রাম্যমান আদালত। এসব অর্থদন্ড প্রাপ্ত জেলেরা হলো- মোঃ ফজলু বেপারী (৩৫), মোঃ মানিক (২০), মোঃ সোলাইমান (৩০) ও কুতুবুদ্দিন (২৭)। অভিযানে জরিমানার টাকা নগদ আদায়ের মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তি দেখানো হয়েছে বলেও জানা যায়।