বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়িতে উপপরিদর্শক (টিএসআই) পদে যোগদানের মাত্র ১১ দিনে মাদক নিয়ন্ত্রণে তৎপর হয়ে উঠেছেন রকিব হোসেন। যোগদানের প্রথম দিন থেকেই মাদক নিয়ন্ত্রনে অভিযান অব্যহত রেখেছেন। ইতোমধ্যে তিনি মাদক উদ্ধার ও বেশ কয়েকজন চিহ্নিত কারবারিকে গ্রেপ্তার করে বগুড়া জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। ফলে মাত্র কয়েক দিনেই মাদক কারবারিদের কাছে তিনি আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছেন। জানা গেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারী সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়িতে টিএসআই পদে যোগদান করেন রকিব হোসেন। এর আগে তিনি আদমদীঘি থানায় কর্মরত ছিলেন। সান্তাহারে যোগদানের মাত্র ১১ দিনে তিনি মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে ১২ জন অপরাধীকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। এরমধ্যে চিহ্নিত তিন মাদক ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছেন। তারা হলো, উপজেলার বড় আখিড়া গ্রামের আবদুল জব্বারের ছেলে বেলাল হোসেন (৪০), সান্তাহার পৌর শহরের লকু পশ্চিম কলোনি দীঘিরপাড়ের মৃত বশির শেখের ছেলে উজির শেখ (৫৫) ও সান্তাহার আদর্শ পাড়ার মৃত আবুল কালামের ছেলে ফিরোজ হোসেন (৩৫)। শুধু তাই নয়, মাদক সেবন, চুরি ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছেন। টিএসআই রকিব হোসেন অপরাধিদের বিরুদ্ধে তৎপর হয়ে উঠায় ক’দিন ধরে মাদকের ক্রেতা-বিক্রেতারা গা ঢাকা দিয়েছেন। সান্তাহার নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম আম্বিয়া লুলু বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে আনা পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সাধারণ মানুষকেও এ ব্যাপারে পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে। কারণ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলে এর সুফল প্রত্যেক নাগরিক পাবেন। এ বিষয়ে সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (টিএসআই) রকিব হোসেন জানান, পৌর শহরকে মাদকমুক্ত করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আশা করছি, বড় মাদক বিক্রেতাদের গ্রেপ্তার করা হলে মাদক নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই সম্ভব। চিহ্নিত কারবারিদের তালিকা করে অভিযান অব্যহত রাখা হবে।